আগামী এক বছরের মধ্যে চাঁদপুরের কেউ গৃহহীন থাকবে না : ডিসি কামরুল হাসান।



মেহেদী হাসান শুভ চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ


চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেছেন, আগামী এক বছরের মধ্যে চাঁদপুরে কেউ গৃহহীন থাকবে না। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের নির্দেশনা বাস্তবায়ণে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।


আজ দুপুরে   চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার জমিসহ একক গৃহ হস্তান্তর বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং কালে তিনি এসব কথা বলেন।


প্রেস ব্রিফিং কালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, মুজিববর্ষে “বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না” মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান চলমান রয়েছে। মুজিববর্ষে উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের ৩য় পর্যায়ের (২য় ধাপ) শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপলক্ষে চাঁদপুর জেলার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দের সাথে আজ প্রেস বিফ্রিং ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছে।


তিনি বলেন, ২১ জুলাই ২০২২ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে প্রায় ২৬,৩৯০ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। ১ম পর্যায়ে প্রায় ৬৬,১৮৯ জনকে, ২য় পর্যায়ে প্রায় ৫৩,৩৪০ জনকে ও ৩য় পর্যায়ের ১ম ধাপে প্রায় ৩৩,০০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ প্রদান করা হয়েছে।


এসময় তিনি আরো বলেন, চাঁদপুর জেলায় “ক’ শ্রেণির গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার এর সংখ্যা ১৬০৬ টি। ১ম পর্যায়ে গৃহের মাধ্যমে ১৩৫টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ২য় পর্যায়ে এ জেলায় একক গৃহের মাধ্যমে ১০৯টি পরিবারকে অর্থাৎ ২টি পর্যায়ে সর্বমোট ২৪৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে ২২৩টি একক গৃহ প্রদানের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তন্মধ্যে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় ৩য় পর্যায়ের ১ম ধাপে একক গৃহের মাধ্যমে ৫১টি, আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬২৯টি অর্থাৎ মোট ৬৮০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বাকি ৭২টি গৃহের মধ্যে আগামী ২১জুলাই ২০২২ তারিখে ৩য় পর্যায়ের ২য় ধাপে ৬৫টি পরিবারকে [যথাক্রমে হাজীগঞ্জে ২৯টি, শাহরাস্তিতে ২১টি, ও মতলব দক্ষিণে ১৫টি ] এবং অবশিষ্ট ৭টি পরিবারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গৃহ হস্তান্তর করা হবে।


চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, ৭টি গৃহ নির্মানের জন্য খাস জমিতে মাটি ভরাট করা হয়েছে। ভালোবাসে মাটির কম্প্যাকশন না হওয়ায় কাজ শুরু করা হয়নি। এসকল পরিবারকে এক টাকা সেলামীতে দুই শতক জমি বন্দোবন্ত প্রদান করা হয়েছে। উক্ত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে কবুলিয়ত রেজিস্ট্রেশন, নামজারী ও খতিয়ান প্রদান বাবদ ১১৭০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এতে নাম জারীর জন্যও তাদের কোন টাকা ব্যয় করতে হয়না। প্রতিটি একক গৃহের আয়তন ৩৯৫ বর্গফুট। দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহে একটি টয়লেট, একটি রান্নার কক্ষ ও একটি ইউটিলিটি স্পেস রয়েছে।

Post a Comment

0 Comments