সমাজ ও পুলিশ বাহিনীর সেতু বন্ধনই হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশিং: তানভীর টিটু


 বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া সেল এর চেয়ারম্যান ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সেক্রেটারি তানভীর আহমেদ টিটু বলেছেন, এই কমিউনিটি পুলিশিং এর বিষয়ে বা এই সংগঠনের কাজ কি সেটা অনেকে হয়তো জানে না। আমরা যদি এই কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকে সহযোগীতা করি তাহলে আমাদের সমাজ থেকে সন্ত্রাস, মাদকসহ যত ধরণের অপকর্ম আছে সেগুলো দুর করা সম্ভব। আমরা একেকজন একেক দায়িত্ব নিয়ে বড় হই এবং সেই সকল দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হয়। এর বাইরেও সমাজের জন্য আমাদের কিছু দায়িত্ব পালন করতে হয়। এই কমিউনিটি পুলিশিং হচ্ছে সমাজের সাথে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সেতু বন্ধনের একটা যায়গা। আমাদের এলাকার আশেপাশে সংগঠিত হওয়া অপরাধ সম্পর্কে যদি আমরা পুলিশকে অবগত করি তাহলে অপরাধ দমনটা কিন্তু অনেকটা সহজ হয়ে যায়। শুধু অপরাধ দমনই নয়, কোন পরিবার বা ব্যক্তির যদি কোন সাহায্য সহযোগীতার সুযোগও আমাদের আছে।

বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের পরিচিতি সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্টস এসোসিয়েশন ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহার সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

তানভীর আহমেদ টিটু বলেন, আমার কাধে অনেক গুলো দায়িত্ব আছে, আর আমি সব গুলো দায়িত্বই সুন্দর ভাবে পালন করার চেষ্টা করছি। তবে সেই সব দায়িত্বর মধ্যে এই কমিউনিটি পুলিশিং এর দায়িত্বটি আমার কাছে স্পেশাল মিনিং বহন করে। কারন এইখানে আমি কাজ করালে আমার এলাকা আমার জেলার অপরাধ দমনে আমার এক্টিভ ভুমিকা থাকবে। আমরা সমাজে অনেক ছোট বড় অপরাধ দেখি। আমরা বাল্য বিবাহ দেখি, যা সন্তনের জন্য ক্ষতিকর। আমাদের পরিচিতরাই আমাদের রিকোয়েষ্ট করে যাতে তাদের কোন বাধার সম্মুক্ষিন হতে না হয়। তবে আল্টিমেটলি কি হচ্ছে, এতে হচ্ছে যে আমি আমার নিজের হাতে সন্তানকে বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছি। এই সকল অপরাধ মুল্যক কাজ থামাতে বাংলাদেশ সরকার পুলিশ বাহিনীর সাথে কাজ করার জন্য এই কমিউনিটি পুলিশিং এর ব্যবস্থা করেছে। এই সংগঠনে যাদের নাম আছে তারাই শুধু ইমপর্টেন্ট না, প্রতিটি ব্যক্তি স্ব স্ব অবস্থান থেকে ইমপর্টেন্ট। প্রত্যেকটি বাড়ির প্রত্যেকটি সদস্য এই সংগঠনের সদস্য।

তিনি আরও বলেন, আমরা যখন কোন পদে যাই তখন দেখা গেছে অনেকে সেই পদের নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের সমাজকে নষ্ট করতে চায়। কমিউনিটি পুলিশিং এর কার্ড বানিয়ে অনেক স্থানে চাঁদাবাজীও করতে দেখা গেছে। এই অপরাধ গুলোর বিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখবো। যাতে আমাদের সংগঠনের নাম নষ্ট না হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজ পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ জায়েদুল আলম, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সালমা ওসমান লিপি, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. ইসমত আরা, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সহ সভাপতি কাওসার আহাম্মেদ পলাশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সহ সভাপতি শাহ্ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সহ সভাপতি এড. মুহাম্মদ মহসীন মিয়া, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের অফিস সম্পাদক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল‘লাইভ নারায়ণগঞ্জ’র সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন প্রমুখ।

Post a Comment

0 Comments