চাকুরি জীবনে সবচেয়ে সোনালী সময় কেটেছে এই নারায়ণগঞ্জে: এসপি জায়েদুল আলম

 

অনেকে বলে কমিউনিটি পুলিশিংটা কি? আপনি আসামী ধরবেন? মামলা নিবেন? আসামী কোর্টে দিবেন?

উত্তর হচ্ছে- না? সেটা না। আপনাদের মাঝে সাংবাদিক আছে, আইনজীবী আছে। রাজনৈতিক নেতারা রয়েছে, স্কুল-কলেজের অধ্যক্ষ রয়েছে। সকলে মিলে সমাজের বন্ধন অটুট রেখে বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করবেন।

নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি ভবনে বুধবার (২৭ জুলাই) বিকালে কমিটি গঠনের পর জেলা কমিউনিটি পুলিশং ফোরামের পরিচিতি সভা এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।

তিনি বলেন, ‘কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক খুবই দক্ষ, জনপ্রিয়, উদ্যোগী ও অত্যান্ত পরিশ্রমী; আমার কাছে মনে হয়েছে। আপনাদের করতালী ও উপস্থিতি তারই প্রমান। কমিউনিটি পুলিশিং জনগণকে নিয়ে কাজ করবে। তাই বলা হয়েছে, জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা।’




বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্টস এসোসিয়েশন ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি প্রবীর কুমার সাহার সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

সেখানে মোহাম্মদ জায়েদুল আলম আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই কমিটিকে যদি ভালো ভাবে কাজ করানো যায়। তাহলে ২ থেকে ৩ হাজার সদস্য অন্তভূক্ত করা কোন ব্যাপারই হবে না। সকলে যদি কাজ করে, তাহলে নারায়ণগঞ্জে নারী উত্তক্ত, বাল্যবিবাহ, মাদক মনে হয় না থাকবে। এতোমধ্যেই এলাকা ভিত্তিক বিট পুলিশিং সেবা চালু হয়েছে। সেই বিটে কোন সমস্যায় পরলে কমিউনিটি পুলিশকে জানাবে। কমিউনিটি পুলিশ সেটা সমাধান করবে। এতে পুলিশের সেবা জনগণের দরজায় পৌঁছে যাবে। অর্থাৎ কমিউনিটি পুলিশিং, বিট পুলিশিং পুলিশের সেবাকে জনগণের দরজায় পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে।’

এসপি আরও বলেন, গত ২ বছর ৭ মাস আপনাদের মাঝে ছিলাম। গত ২ জুন আমার পদোন্নতি হয়েছে। ইতোমধ্যে আমার পদায়ন ঢাকা মহানগর পুলিশে হয়েছে, আমি সেখানে হয়তো ১ সপ্তাহ বা তার আগে সেখানে চলে যাবো। আপনাদের ছেড়ে যেতে হবে, ভেবেই আমার মন খুবই খারাপ লাগছে। আমি নারায়ণগঞ্জকে কোন দিন ভুলতে পারবো না, আপনাদের সহযোগীতাও কোন দিন ভুলতে পারবো না। আপনারা আমাকে যে সহযোগীতা করেছেন, আমি মনে করি, অতিতের যে কোন সময়ের চেয়ে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেছেন। যার ফলে আজকে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ খু্বই ভালো রয়েছে।’


যাওয়ার পূর্বে পুলিশ সুপার তার অভিজ্ঞতা থেকে নারায়ণগঞ্জ সর্ম্পকে জানান, আমার ১৮ বছরের চাকুরি জীবনে আমার সবচেয়ে সোনালী সময় কেটেছে এই নারায়ণগঞ্জ। এখানকার মাটি ও মানুষ অত্যান্ত ভালো। তারা মানুষকে সম্মান করে, তারা আইনশৃঙ্গলা বাহীনিকে সম্মান করে। তারা মিলেমিশে কাজ করে। এক সাথে কাজ করে। অথচ, বিভিন্ন ধরণের স্বার্থনেশি মহল নারায়ণগঞ্জকে বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপনা করে। এখানের নেতৃবৃন্দকে তারা হেও করার চেষ্টা করে। অথচ, বাংলাদেশের যে কোন জেলার থেকে এখানকার পরিবেশ ভালো। বাংলদেশে সবচেয়ে খুদ্রতম জেলা হয়েও দেশের সবচেয়ে ধনী জেলা নারায়ণগঞ্জ। হয়তো এটার জন্যই স্বার্থনেশি মহল যারা রয়েছে, যারা নারায়ণগঞ্জের ভালো চান না, তারা নারায়ণগঞ্জের প্রতি হিংসা পরায়ন হয়ে জেলার বিরুদ্ধে কথা বলেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হাই, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সালমা ওসমান লিপি, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দন শীল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসা. ইসমত আরা, জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সহ সভাপতি কাওসার আহাম্মেদ পলাশ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সহ সভাপতি শাহ্ নিজাম, নারায়ণগঞ্জ বার এসোসিয়েশনের সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, নারায়ণগঞ্জ বার এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ও জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সহ সভাপতি এড. মুহাম্মদ মহসীন মিয়া, জেলা কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের অফিস সম্পাদক ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল‘লাইভ নারায়ণগঞ্জ’র সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল হোসেন প্রমুখ।

Post a Comment

0 Comments