প্রতারক চক্রের মূলহোতা বাবুল মিয়া |
নেত্রকোণার কলমাকান্দায় বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর সময় সাড়ে ১৫ হাজার টাকার জাল নোটসহ নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এসময় প্রতারক চক্রের মূলহোতা তার ব্যবহৃত রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেলটি ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যায়।
শনিবার (২ জুলাই) এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার উপ-পরিদর্শক শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে পলাতক মূলহোতা মো. বাবুল মিয়া (২৬) ও আটক শিক্ষার্থী মৌলা মিয়ার (১৭) নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। বিকেলেই আটক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় মূলহোতা ও বিকাশ প্রতারক হিসেবে খ্যাত বাবুল মিয়া বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার দায়ে বেশ কয়েকটি মামলার আসামি। আর জাল নোটসহ আটক শিক্ষার্থী মৌলা মিয়া রংছাতি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে বাবুল মিয়া তার বড় ভাই নজরুল মিয়ার শ্বশুরবাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে শিক্ষার্থী মৌলা মিয়াকে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে একই উপজেলার বড়খাপন ইউনিয়নের উদয়পুরে আসেন।
এরপর একটি নাম্বারের বিকাশ করার জন্য বাবুল মিয়া জাল নোটগুলো মৌলা মিয়ার হাতে দিয়ে উদয়পুর বাজারের একটি বিকাশের দোকানে পাঠান। এসময় বাবুল মিয়া দোকানের বাইরে অবস্থান করছিলেন।
বিকাশ দোকানের মালিকের নোটগুলো দেখে সন্দেহ হলে তিনি মৌলা মিয়াকে আটক করেন। এসময় বাবুল মিয়া তার মোটরসাইকেল রেখেই পালিয়ে যান।
পরে খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মৌলা মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
কলমাকান্দার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল আহাদ খান জানান, জাল টাকাগুলোর মধ্যে ১১টি এক হাজার ও নয়টি পাঁচশো টাকার নোট রয়েছে। মূলহোতা বাবুলকে ধরতে কাজ করছে পুলিশ। এ কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিকে জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বেশ কিছু দিন আগেও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার জন্য বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট থানাসহ বিভিন্ন থানায় বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণার দায়ে অনেক মামলার আসামি বাবুলের এলাকায় বিকাশ প্রতারক নামে খ্যাতি রয়েছে।
0 Comments