জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাঁতী লীগের পক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে নগরীর পুরাতন কোর্ট এলাকায় এই আয়োজন করা হয়।
মহানগর তাতী লীগের আহ্বায়ক চৌধুরী এইচ এম শাহেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. খোকন সাহা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ১৯৮১ সালে নেত্রী দেশে ফিরে দলকে শক্তিশালী করলেন। নেত্রীর নেতৃত্বে আমরা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসলাম। পরে জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের কালো আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধু খুনিদের শাস্তি দেয়া হলো। ২০০১ সালে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের পরাজিত করা হলো এবং সারাদেশে আমাদের ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হলো। যার মধ্যে এমপি ও সাবেক এমপিও ছিলো। পরবর্তিতে ২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর এই ১৪ বছরে নেত্রী বাংলাদেশের চিত্র পাল্টায় দিলেন। সর্ব ক্ষেত্রেই উন্নয়নের ছোয়া লাগিয়েছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা।
এড. খোকন সাহা আরও বলেন, বিএনপি তত্তাবাধয়ক সরকারের অধিনে নির্বাচন চায়। তত্তাবাধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে মওদুদ আহমেদ আদালতে মামলা করলেন, যা খারিজ করে দেয়া হয়। আজ ওনারা বেআইনি কথা বলছে। সারা পৃথিবীতে তত্তাবাধায়ক সরকার কোথাও নাই। বিএনপির নেতাকর্মীদের বলবো, তত্তাবাধায়ক সরকারের কথা আপনারা ভুলে যান। আপনারা ভাবতাছেন আরেকটা পচাত্তর করবেন, সেটা হবে না। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অত্তন্ত সজাগ। আপনারা যদি এরকম বক্তব্য আবার দেন, আমরা নারায়ণগঞ্জ থেকে এর দাত ভাঙ্গা জবাব দিবো। এটা শামীম ওসমানের এলাকা, এখানে আমরা যদি মনে করি বিএনপি থাকবে না, তাহলে থাকবে না। তবে আমরা চাই নিয়মতান্ত্রিক ভাবে রাজনীতি করতে। আপনারা আসেন সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে, আকথা কু-কথা বাদ দিয়ে সঠিক পথে এসে উন্নয়নে সামিল হন।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জি এম আরমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মাহমুদা মালা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর তাঁতী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ লিটন, রফিকুল ইসলাম জীবনসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
0 Comments