নিজস্ব সংবাদদাতা :
দলিল লিখক খোকন ভেন্ডারের উপর হামলা মামলায় নানা অপকর্মের হোতা, জেলার মাদক সম্রাট জনি ওরফে ব্লাক জনির সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। রাজিব ও সানিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিশোর গ্যাং লিডারসহ নানা অপকর্মের হোতা রাজিব ও সানিকে ৫ দিনের পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন পূর্বক জেলা আদালতে প্রেরন করেছে। গত ৯ আগস্ট মঙ্গলবার রাতে বন্দর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই নাহিদ মাসুম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমিন আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতৃারকৃত রাজীব শিকদার, দেওভোগ ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার সিরাজুল সিকদার হলেও থানা পুলিশের কাছে তথ্য গোপন করেন কিশোর গ্যাং লিডার আজউল্লাহ ছেলে ও বন্দর আমিন আবাসিক এলাকার আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে সানি।
কিশোর গ্যাং লিডার রাজিব সিকদারের বিরুদ্ধে ১৫(৯)২০ ও ২৫(৯)২০ ইং ২ টি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছ। রাজিব সিকদার এতটা বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল নদী পথে চাঁদাবাজি, গাড়ী ছিনতাই, মারামারি করার মত একাধিক গ্রুপ রয়েছে। প্রায় ৩ মাস পূর্বে বালুচর এলাকার এক যুবককে প্রকাশ্য পিটিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলেছিল। জোড় যার মূলক তার। এমন ঘটনায় থানায় অভিযোগ করতে পারেনি।
গ্রেফতারকৃত রাজিব সিকদার ও সানির বিরুদ্ধে রয়েছে চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বহু অপকর্মের অভিযোগ। তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একাধিক মাদক সিন্ডিকেট।
বন্দরে দলিল লিখক সমিতির অফিস সংলগ্ন আমিন, রেলী, রুপালী, রেলী বাগান, কলাবাগ, ঝাউতলায় রয়েছে তার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে একাধিক গ্রুপ। তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতৃারকৃত আসামীদের বুধবার নারায়ণগঞ্জ কেটে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকেলে বন্দর ফায়ার সার্ভিসের সামনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০/২৫ জন বিভিন্ন এলাকার অপরিচিত সন্ত্রাসী খোকন ভেন্ডারের উপর হামলা চালায়। মামলা হলেও গত ১৪ দিনে কোন আসামীকে গ্রেফতারের সংবাদ জানাতে না পারলেও ঘটনার মূল নায়ক বহু অপকর্মের হোতা রাজিব সিকদারকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তার কাছ থেকে নানা প্রকার গভীর তথ্য পাওয়া যাবে বলে ভুক্তভোগীরা জানায়।
এ বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অপরাধীর পরিচয় একটাই তিনি অপরাধী। কে বা কার লোক সেগুলো দেখার সময় নাই। কোন কিশোর গ্যাং বন্দরে থাকবে না। সকল অপরাধী আইনের ধারায় বিচার নিশ্চিত করা হবে।
0 Comments