চারদিকে কর্মী বাহিনীসহ রাজনৈতিক গতিশীলতা করাই কি কাল হচ্ছে খান মাসুদের??




বন্দর প্রতিনিধিঃ-


 প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর বিভিন্ন সময়ে তার বক্তব্যেগুলো কঠোর ও দিক নির্দেশনা মূলক ছিল। তার সবচেয়ে দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্যের মধ্যে ছিল রাজনীতি নিয়ে।  চারদিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।  এক জায়গায় থেকে রাজনীতি করলে হবে না। ফতুল্লা, সদর, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর ও সোনারগাঁওটা নিয়ে চাঙ্গা করতে হবে। রূপগঞ্জ, আড়াইহাজারে ভাল ভাল নেতা আছে। আমরা আপাতত এগুলো দেখি। কারন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজনীতি করলে হবে না। আমার সব জায়গাগুলো লাগবে।  সেই দিক বিবেচনায় বন্দরে এক আলোচিত ও পরিক্ষিত ত্যাগী নেতা খান মাসুদ।  বন্দরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় খান মাসুদের কর্মীসহ ভালবাসার লোক আছে। চারদিকে কর্মী বাহিনীসহ রাজনৈতিক গতিশীলতা করাই কি কাল হচ্ছে খান মাসুদের জন্য এমনই প্রশ্ন রাজনৈতিক বৌদ্ধদের। 

ইতিহাস বলে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী শেখ মুজিবুর রহমান। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান কিন্তু একদিনে উঠে আসেনি। বহু ত্যাগ, নির্যাতনের পরিক্ষা দিয়ে বর্তমানে রহস্যময় পুরুষ হিসেবে আর্ভিবিত হচ্ছেন শামীম ওসমান। তেমনি তার কর্মী বাহিনীর একজন কারা নির্যাতিত খান মাসুদ।  খান মাসুদ রাজনীতির মাঠে একদিনে আসেননি। ১৯৯৮ সালে সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে পর্দাপন। তারপর ছাত্র রাজনীতিতে আসেন খান মাসুদ।  রাজনীতিতে আসার পর বন্দরের নির্যাতিত নেতার সংখ্যা ৮/ ১০ জন হলেও খান মাসুদ শীর্ষে। যে কারনে নিজ দলীয়সহ হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী, আমলাতান্ত্রিক মহলের গ্যাড়াকলে প্রতিনিয়ত যেন তাকে প্রতিত হতে হচ্ছে।  শত ষড়যন্ত্র করেও তার নীতি থেকে সড়াতে ব্যার্থ হয়ে ফেইসবুক (ফেক) আইডি খুলে হেয় প্রতিপন্ন করার মিশনে পুনরায় নেমেছে।  সাধু সাবধান -- খান মাসুদ শুধু দলের সম্পদ না, তিনি বর্তমানে দল, সাংগঠনিক, সামাজিকসহ গরীব ও অসহায় মানুষের সম্পদ। তাকে নিয়ে না খেলার বিশেষ আহবান সচেতন মহলের। খান মাসুদকে নিয়ে চক্রটি ২০১৫ সাল হতে খেলা শুরু করেছে।  তাদের নানামুখী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্রের শিকারে কপোকাত করতে পারেনি খান মাসুদকে। ষড়যন্ত্রকারীরা যতই তাকে নিয়ে খেলেছে সত্যের জয় হয়েছে।  কারন খান মাসুদের উপর আল্লাহর রহমত ও গরীব, অসহায় মানুষের দোয়া রয়েছে।  আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে খান মাসুদ বন্দরের জন্য একটা সম্পদ বনে গেছেন।  নানা ষড়যন্ত্রের জাল ছেদ করে খান মাসুদ প্রতিনিয়ত হয়ে উঠেন সর্বশ্রেণীর মানুষের কাছে প্রিয়। তার রয়েছে বিশাল এক কর্মীবাহিনী। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যেমন সামাজিক ও দেশের কাজে আরো চতুর খান মাসুদসহ তার কর্মী বাহিনী।  পরিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে প্রায় ৪ বছর যাবত তার সেচ্ছাসেবী টিম কাজ করে যাচ্ছে।  যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে খান মাসুদ সংগঠনের জন্য কাজ করে গেছেন।  বন্দর সদরের ৯ টি ওর্য়াড, বন্দর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ৪৫ টি ওর্য়াডে তার কর্মী বাহিনী রয়েছে।  কর্মী বাহিনী থাকার ফলে দলের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি হয়েছেন, তেমনি নিজ দলীয় হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশ কারীদের তোপের মুখেও পতিত হতে হচ্ছে৷ তার নেতা ও রাজনৈতিক গুরু প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজনীতি করলে হবে না,  আমার সবগুলো জায়গা লাগবে। তার নির্দেশ অনুযায়ী যুবলীগ নেতা খান মাসুদ তার একজন কর্মী হিসেবে বন্দরে গড়ে তুলেছেন বিশাল এক কর্মী বাহিনী।  এতে গা জ্বলছে তাদের। 

অন্য একটি সভায় শামীম ওসমান  কঠোরভাবে ভাষায় কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন বলেন, দলকে গতিশীল করতে তৃনমূলের খবর নেন। এখন অনেকে বড় কথা বলে, আগে নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করেন। জামায়াত - বিএনপিসহ সুশীলদের থেকে সড়ে আসেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করার অপরাধে কোন নেতার ভূমিকা কি, কে কতবার জেল খেটেছে, কোন নেতা কতটুকু নির্যাতিত তার খুঁজ নেন।  তাদের মূল্যায়ন করেন।  তৃনমূল সংগঠনের মূলভীত। বড় কথা বলার প্রয়োজন নেই। নিজেদের অবস্থান ক্লিয়ার করেন। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করেন। এক জায়গা থেকে রাজনীতি করলে হবে না। বঙ্গবন্ধু এক জায়গায় দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে নাই।  রাজনীতি করতে হলে অবস্থান তৈরি করতে হবে। সেই অবস্থানের মূল শক্তি তৃনমুল।  চারদিক থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।  সকলকে চোখ - নাক খোলা রেখে রাজনীতি করতে হবে। নিজের জন্য না হলেও আগামীর প্রজন্মের জন্য সকলকে ঐক্য বন্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে পুনরায় সরকার ক্ষমতায় আনতে হবে। তারপর না হয় আপনারা গ্রুপিং বা যে ভাবে রাজনীতি করতে চাইলে কইরেন। তবে নেতার বক্তব্যকে বাস্তব রূপ ধারণ করার জন্য কি খান মাসুদকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।চারদিকে কর্মী বাহিনীসহ রাজনৈতিক গতিশীলতা করাই কি কাল হচ্ছে খান মাসুদের জন্য এমনই প্রশ্ন রাজনৈতিক বৌদ্ধদের। 

Post a Comment

0 Comments