কুমিল্লার সাগর হত্যা মামলার মূল হোতা মোঃ মাসুম (২৩) র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ কর্তৃক গ্রেফতার


কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানাধীন কেশোরা এলাকা হতে চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত সাগর হত্যা মামলার মূল হোতা ও এজাহার নামীয় প্রধান আসামী মোঃ মাসুম (২৩) র্যাব-১১, সিপিসি-২ কর্তৃক গ্রেফতার।

গত ৩১ আগস্ট ২০২২ইং তারিখ রাত আনুমানিক ০৯:০০ ঘটিকার সময় কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধীন ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউ.পি এর কলাকোপা সাকিনস্থ জনৈক লতিফ ফকিরের বাড়ীর পুকুরের পশ্চিম-উত্তর কোনায় ঝোপ-ঝাড়ের ভিতরে পচাঁ-গলা অর্ধগলিত দুই টুকরা লাশ পাওয়া গেলে বিষয়টি অত্র এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও আলোড়ন সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা মোঃ আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সাগর হত্যার মূল হোতা মাসুমসহ ০৫ জন এজাহার নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

পারিবারিক সূত্র ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, আসামী মাসুম নিজস্ব এলাকায় ছোট খাট কিছু চুরি করত যার দরুণ এলাকায় সে ‘ছেচড়া চোর মাসুম’ নামে পরিচিত ছিল। আসামী মাসুম তার নিকট অল্প টাকার মধ্যে ভাল মোবাইল আছে বলে নিহত ভিকটিম সাগরকে প্রলোভন দেখায়। উক্ত প্রলোভনে প্রলোভিত হয়ে নিহত ভিকটিম সাগর গত ২৩/০৮/২০২২ তারিখ তার মায়ের নিকট হতে ৫,০০০/- টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে আসামী মাসুমের সাথে দেখা করে। সারাদিন ঘোরাঘুরির পর এক পর্যায়ে রাতে আসামী মাসুম ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় তার পরিচিত এক ছেলের নিকট হতে মোবাইল কিনে দেবে বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিহত ভিকটিম সাগরকে দাউদকান্দি থানাধীন ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউ.পি এর কলাকোপা সাকিনস্থ জনৈক লতিফ ফকিরের বাড়ীর পুকুরের পশ্চিম-উত্তর কোনায় ঝোপ-ঝাড়ের নিকটে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর নিহত ভিকটিম সাগর কাউকে দেখতে না পেয়ে চলে আসতে চাইলে ভিকটিম সাগরের নিকট মোবাইল কেনার জন্য যে ৫,০০০/- টাকা ছিল তা দিতে বলে। 

তখন নিহত ভিকটিম সাগর বলে এ টাকা কষ্টার্জিত টাকা, এ টাকা কাউকে দিবে না। তখন আসামী মাসুম নিহত ভিকটিম সাগরকে কৌশলে ঘটনাস্থলের ঝোপ-ঝাড়ের ভিতরে নিয়ে যায় এবং গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যা পরবর্তীতে সে দ্রুত ঐ স্থান ত্যাগ করে নিজ বাড়ীতে চলে যায়। বিষয়টি লোক জানাজানি হলে সে ধরা পড়তে পারে এই কথা চিন্তা করে ঐ রাতেই আসামী মাসুম তার বাড়ীতে থাকা চাপাতি, ছুরি ও কোদাল নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে যায় ও মৃতদেহটি তিন খন্ড করে গলা থেকে মাজা পর্যন্ত খন্ডটি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি মাটিতে পুঁতে রাখে এবং বাকি মাজা থেকে পা পর্যন্ত ও মাথার খুলি সহ মৃতদেহ তিন খন্ড করার কাজে ব্যবহৃত চাপাতি, ছুরি ও কোদাল নিকটস্থ মাছের ঘেরে ফেলে দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। বাড়িতে এসে সে এলাকার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। পরবর্তীতে গত ৩১/০৮/২০২২ইং তারিখ নিহত ভিকটিম সাগরের লাশ পাওয়া গেলে আসামী মাসুম আত্নগোপনে চলে যায়।

Post a Comment

0 Comments