নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্য বর্ধনে বদ্ধপরিকর মেয়র আইভী। আর সেই সুবাধে ধারাবাহিকতার সহিত নানা প্রকল্প হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়নে কাজ করছেন তিনি। দিন যতই গড়াচ্ছে মেয়র আইভীর কাছে নাসিক বাসীর চাহিদা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নাসিক ১৩নং ওয়ার্ডবাসীরা এবার মেয়র আইভীকে তাদের চাওয়ার কথা ব্যক্ত করেছেন মিডিয়ার মাধ্যমে।
এবিষয়ে নাসিক ১৩নং ওয়ার্ডবাসী ও বৃহত্তর গলাচিপা যুবসমাজের নেতৃবৃন্দরা বলেন, নারায়ণগঞ্জের নাসিক এড়িয়াতে মেয়র আইভীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকায় এর সুবিধা আমরা পাচ্ছি। পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন খাল খনন এবং সেই স্থানকে বিনোদনের কেন্দ্রে রুপ দেয়ায় আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ পাচ্ছি।
তবে আমাদের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত কিছু মামলার কারনে কারাগারে আছে। যার কারনে আমরা ওয়ার্ডবাসী অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
তারা আরও বলেন, আমরা বহুবার ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে আমাদের একটা দাবির কথা মৌখিক ভাবে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি সেটা সম্পুর্ন্য বাস্তবে রুপ দিতে পারেননি। এটা সম্পুর্ন্য রুপে বাস্তবায়ন হলে আমরা অনেক ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবো। পাশাপাশি আমাদের বিনোদনের আরও একটি কেন্দ্র বৃদ্ধি পাবে।
নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ যেটা আমাদের এই জেলার ঐতিহ্য বহন করে আসছে শত বছর ধরে। প্রতিদিন ভোর আর সন্ধ্যায় শত শত মানুষ এই ঈদগাঁয়ে শরীর চর্চা করতে আসে। কিন্তু দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর সেই শান্তির এড়িয়াটি আতংকের স্থানে পরিনত হয়। প্রতিনিয়তই
ছিনতাই, মাদক বিক্রি সহ নানা অপরাধ সংগঠিত হয়। এই স্থানে ছিনতাইয়ের কবলে পরে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার।
নাসিক ১৩নং ওয়ার্ডবাসী ও বৃহত্তর গলাচিপা যুবসমাজের দাবি সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নের রুপকার মেয়র আইভী যদি নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ও পুকুরটির চার পাশে কিছু আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করে দেয়। তাহলে ছিনতাই, মাদক বিক্রি সহ আতংকের এই স্থানটি পরিনত হবে সাধারণ মানুষের অভয়ারন্যে। সেই সাথে সন্ধ্যার পর কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ও পুকুরটির চার পাশে কিছু আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করে দিলে। সেটা হতে পারে সাধারণ মানুষের বিনোদন আরও একটি কেন্দ্রে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহি কেন্দ্রীয় ঈদগাঁয়ের সুন্দরর্য্য।
এ বিষয়ে সঙরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নিকে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে সেটা বন্দ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসাইন বলেন, নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ আমাদের ওয়ার্ডে পরায় এটা আমাদের গর্বের বিষয়। নারায়ণগঞ্জের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে ডিজিটাল ওয়ার্ড আমাদেরটি। এখানে সাধারণ মানুষের সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আছে। এই ওয়ার্ডে এশিয়ার সবচেয়ে বড় এবং এক সাথে সকল ধর্মের মানুষের কবরস্থান, শশ্মান, খ্রিষ্টানদের সমাধিক্ষেত্র।
তবে দু:খ জনক হলেও সত্যি কেন্দ্রীয় ঈদগাঁয়ের আসে পাশে পর্যপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পরে প্রতিনিয়তই সাধারণ মানুষ ছিনতাইয়ের কবলে পরতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আমিও মেয়রকে আহবান করবো জনদুভোর্গ কমাতে ও নারায়ণগঞ্জের কেন্দ্রীয় ঈদগাঁহ ও পুকুরটির চার পাশে কিছু আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করে দেয়। এতে করে সুন্দরর্য্য বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি বাড়বে।
0 Comments