জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন আওয়ামীলীগের ৭




 নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন ঘিরে আওয়ামীলীগের ৭ নেতা আলোচনায় উঠে এসেছে। এই ৭ নেতা আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। ইতিমধ্যো চেয়ারম্যান পদে চুড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার জন্য তারা দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। এরমধ্যে কেউ কেউ রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় অফিসে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন।


 



সূত্রমতে, নারায়ণগঞ্জের যে ৭ নেতা দলের মনোনয়ন পাবার জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তারা হলেন, জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য ও মহানগরের সহ সভাপতি ১৬ জুন বোমা হামলায় দু’পা হারানো চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু এবং জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার। 



আগামী ১০ সেপ্টেম্বর দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় জানা যাবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে কে হচ্ছেন দলের প্রার্থী। তবে মনোনয়ন পাবার ক্ষেত্রে প্রার্থীরা সবাই আশাবাদি। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ।  


 



জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন, উপজেলা, বিভিন্ন পৌরসভা ও  ইউনিয়ন পরিষদের ৬১৫জন  জনপ্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।


 



৭ প্রার্থীর মধ্যে আনোয়ার হোসেন জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান এবং বর্তমান প্রশাসক। আবদুল হাই ছিলেন এর আগের প্রশাসক। প্রার্থীদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন, আবদুল হাই ও মিজানুর রহমান বাচ্চু নাসিক মেয়র আইভীপন্থি হিসেবে স্থানীয় রাজনীতিতে পরিচিত। 


আর আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল, অ্যাডভোকেট খোকন সাহা ও চন্দন শীল সংসদ সদস্য শামীম ওসমানপন্থি হিসেবে পরিচিত। এর বাইরে ভিন্ন ধারায় রয়েছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাস্টার। 


 



এদিকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তারা কেউই এ বিষয়ে কথা বলতে রাজী হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, তারা এবার আশা করছেন নেত্রী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে পরিবর্তন আনবেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ২০১১ সালে জেলা পরিষদের প্রশাসক হয়ে কাজ করেছেন। মহানগরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ২০১৬ সালে দলের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় চেয়ারম্যান হয়েছেন। এখন প্রশাসক হিসেবে কাজ করছেন। দলের অন্য নেতাদের মধ্যে কাউকে এবার সুযোগ দেওয়া উচিত। সবাই দলের জন্য নিবেদীত প্রাণ। 



 



যোগাযোগ করা হলে, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও আগামী নির্বাচনের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি মনোনয়ন পাবার ক্ষেত্রে শতভাগ আশাবাদী। কারণ তিনি গত ৫ বছর জেলার ৫টি উপজেলায় কাজ করেছেন। গত ৫ বছরে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদকে অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। তাই নেত্রী তাকেই সুযোগ দেবেন বলে আশা করছেন। 


 



সাবেক প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন, গতবার আমাকে ষড়যন্ত্র করে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এবার নেত্রী তাকে মূল্যায়ন করবেন বলে তিনি আশা করছেন। 


 



মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা বলেন, দলের নেতাকর্মীরা আমার জন্য দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছে। এটা তাদের দাবি ছিল। আমি শুধু স্বাক্ষর করে দিয়েছি। নেত্রী দিলে নির্বাচন করবো। 

চন্দন শীল বলেন, দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করবো। সবকিছুই নির্ভর করছে নেত্রীর উপর। 



আবু হাসনাত মোঃ শহীদ বাদল বলেন, দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছি। বৃহস্পতিবার জমা দেবো।



মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, প্রার্থীদের মধ্যে আমি সবার বয়োজেষ্ঠ্য এবং মুক্তিযোদ্ধ। আমি ব্যাটল ফিল্ডে যুদ্ধ করেছি। তবে যারা প্রার্থী হতে চাইছেন সবাই যোগ্য। সবকিছু নির্ভর করছে নেত্রীর উপর। তিনি যাকে মনোনয়ন দেবেন আমি তার জন্যই কাজ করবো। 



জাতীয় শ্রমিক লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মতিন মাষ্টার বলেন, দুঃসময়ে দলের জন্য রাজনীতি করেছি। আশা করছি নেত্রী মূল্যায়ন করবেন।



 


প্রসঙ্গত: আগামী ১৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন।

Post a Comment

0 Comments