'বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ৭৫ সালের প্রতিরোধ যোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমানের নামে এই ব্রীজ নির্মাণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী কৃতজ্ঞ।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম নাসিম ওসমান সেতুর উদ্বোধনের পর সোমবার (১০ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এ কথা গুলো বলছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একএম শামীম ওসমান।
সেতুটির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু দিয়ে মুন্সিগঞ্জের হয়ে এই ব্রীজ দিয়ে যে রাস্তাটি ৪ লেনে উত্তীর্ণ হচ্ছে, সেটা দিয়ে মদনপুর ঠেকবে। সেখান থেকে পূর্বাঞ্চলে সরাসরি যেতে পারবেন। অর্থাৎ পদ্মা সেতুতে যেতে তাদের আগামীতে ঢাকায় প্রবেশ করতে হবে না।
শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জে শুধু এইটাই না। নারায়ণগঞ্জে বিশেষ করে, সড়ক ও সেতু বিভাগ যে পরিমান কাজ করেছে, আজকে নারায়ণগঞ্জবাসী জাতির পিতার কন্যার কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে। সব কিছু মিলিয়ে আমরা এমন একটি জায়গায় চলে এসেছি, আল্লাহ যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হায়াতে তাইয়েবা দান করেন, তাহলে আমার বিশ্বাস নারায়ণগঞ্জ ঢাকা থেকেও উন্নত জায়গায় পরিনত হবে এবং নারায়ণগঞ্জের মানুষ একটা স্বাধীন দেশে যে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া উচিৎ, সেই সব গুলো সুবিধা পাবে।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান বলেন, আমি জীবনে সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি। প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জ এই বন্দরের জনগণের মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল। তাই এই ব্রীজ উদ্বোধনের আনন্দ অতুলনীয়। এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একনেকে পাশ করা শান্তিরচর, নবীগঞ্জ ব্রীজ এবং লাঙ্গলবন্দে ইতোমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ হয়ে গেছে। যখন আমাদের এই প্রকল্প গুলো চালু হয়ে যাবে, তখন বন্দরবাসী অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে।
এ সময় নারায়ণগঞ্জে সেতুর পূর্ব প্রান্তি উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ, নব-নির্বাচিত জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত, জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রশিদ প্রমুখ।
0 Comments