ঝগড়া থামাতে গিয়ে নিজেই মারধরের শিকার হলেন ফটো সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জনি।
গত ২১ অক্টোবর আনুমানিক রাত নয় টার দিকে নগরীর আল-আমীন নগরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ফটো সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জনি।
অভিযোগে জানা যায়, আল-আমীন নগর জিএমসি এলাকায় 'সমাজ উন্নয়ন সংস্থা' নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিএমসি'র ২নং গলিতে রাত ৮ টার দিকে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাদী জাহাঙ্গীর আলম জনি, বিবাদী লুৎফর রহমান পাখি (৩২), মিন্টু সিকদার (৫০), পিতা-মৃত মোবারক শিকদার, ফজলুর রহমান (৫২), সৈয়দ হোসেন (৩৮), পিতা টিএনটি মাওলানা সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন উপস্থিত ছিলেন। এসময় সংগঠনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ বিতন্ডা হয়। ঐসময় সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জনি তাদের আপোষ মিমাংসা করে দেওয়ায় বিবাদীগণ তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে রাত অনুমানিক ৯টার দিকে ফটো সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জনি ও তার ছেলে তরিকুল ইসলাম (১৯) সহ অত্র থানাধীন সৈয়দপুর আল-আমিন নগর হাজ্বী সামছুন্নাহার আইডিয়াল স্কুলের সামনে মেইন রোড দিয়ে বাসায় যাওয়ার সময় উল্লেখিত সকল বিবাদীগণ বেআইনী জনতাবদ্ধে তাদের পথ রোধ করে এলোপাথারি কিল-ঘুষি, লাথি মারতে থাকে। ১নং বিবাদী লুৎফর রহমান পাখির হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা তার মাথার বাম পাশে কানের উপর, পিঠেসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা-ফুলা জখম করে। ২-৪নং বিবাদীসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বিবাদীগণ তাদের হাতে থাকা লোহার রড, ডাসা, ক্রিকেট খেলার ষ্ট্যাম্প দিয়া এলোপাথারি মারধর করে আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে। করে। ৩নং বিবাদী আমার পকেটে থাকা নগদ সাড়ে সাত হাজার টাকা নিয়ে নেয়। আমাদের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে বিবাদীগণ উল্লেখিত ঘটনার বিষয় নিয়ে কোন থানা পুলিশ করিলে আমাদের জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে আশপাশের লোকজনদের সহযোগীতায় নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
0 Comments