অনৈতিক দাবি না মানায় বিছালী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মেম্বারদের মিথ্যা অভিযোগ।।




মোঃ রাসেল হুসাইন নড়াইল জেলা প্রতিনিধি।

নড়াইল জেলার সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুকের বিরুদ্ধে মেম্বারদের মারধর, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিরসহ যে সকল অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সংশ্লিষ্ট পরিষদের আট সদস্যদের দিয়ে একটি কুচক্র মহল ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে, তাঁর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিভিন্ন মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকায় খবর প্রকাশ করছে যার তীব্র প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন চেয়ারম্যান।


জানতে চাইলে চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক বলেন, দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতিসহ যেকোন অপরাধের প্রতি ঘৃণা রেখে আমার পথ চলা। এছাড়া আমি একজন নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান। নিয়ম মেনে নৈতিক ও পেশাগত দায়িত্ব থেকে সততা ও সাহসিকতার সহিত কাজ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো মাঝেমাঝে সমাজের কিছু কতিপয় ব্যক্তি ও উল্লেখিত ইউপি সদস্যরা আমার কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিতে ব্যর্থ হয়ে এবং প্রতিপক্ষের ইশারায় আমার বিরুদ্ধে নামে-বেনামে প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দপ্তরসহ বিশেষ করে গণমাধ্যমে মিথ্যা ঘটনার বিবৃতি স্থাপন করে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করে থাকেন যা একেবারেই অপ্রত্যাশিত।


অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই কাজটি করছেন তারা। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যরা মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার থেকে অনৈতিক সুবিধা চাচ্ছে। এতে সাড়া না দেওয়ায় অনেকটা ব্লাক-মেইলের শিকার হচ্ছি। আমি নিজেও অনিয়ম দুর্নীতি করিনা, সদস্যদেরও করতে দিচ্ছিনা। এতেই তারা চটেছেন। মূলত এটিই হলো পিছনের গল্প।


তিনি আরো বলেন, অনিয়ম- দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তি ভোগ করতে রাজি আছি। মেম্বারদের ওপর হামলার বিষয়ে বলেন, তাদের অভ্যন্তরীণ কোনো কোন্দল বা মাদককে কেন্দ্র করে কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ তারা যেখানে ছিল সেটা মাদকের আখড়া। হামলার বিষয়টি ভালো জানা নেই।


ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, অপপ্রচার করা হচ্ছে। আর অপপ্রচার ছড়িয়ে দেওয়া গেলেও কখনো-ই প্রতিষ্ঠিত হয়না।


এ ব্যাপারে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, কেউ অপপ্রচার চালালে, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে দেশে প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা নিতে পারবেন।


জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রশাসনের কর্মকর্তা জানান, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে করা কোন অভিযোগ আমরা আমলে নিইনা।#

Post a Comment

0 Comments