ফুলপুরে বওলা সরকারী আবাসন থেকে বিতাড়িত স্বামী পরিত্যক্ত দুষ্ট চরিত্রের নাটকী মহিলা শরীফা খাতুন (৩১)বিগত ২৭/১২/২০২২ ইং তারিখ মঙ্গল বার বিকালে আপন সহোদর ভাই সোহাগ মিয়াকে ফাঁসাতে নিজ বাড়ীতে বিষপানে আত্মহত্যার নাটক করে এখন ফুলপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।ইতিপূর্বে ঘটানো অসংখ্য অপকর্ম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকা এবং অনলাইনে শরীফার বিরোধ্যে অসংখ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ায় সাংবাদিকদের প্রতি ক্ষিপ্ত এই দুষ্ট মহিলার বিরুদ্ধে ৩ মাস আগে তার সহোদর ভাই বওলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বরাবরে দেহ ব্যবসার অভিযোগ করলেও অদ্যাবধি এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার বিরোদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি বলে জানান অভিযোগকারী বড় ভাই সোহাগ মিয়া।
জানা যায়,ফুলপুরের বওলা আবাসনের বাসিন্দা হাজারো নাটকের শরিফা খাতুন তার সাবেক স্বামী ও আবাসনের পার্শ্ববর্তী ঘরের বাসিন্দা দেলোয়ারা খাতুন এর বিবাহিত ছেলে লম্পট মদারু রিপন মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া প্রেম চালিয়ে আসছিল।এ বিষয়ে এলাকাবাসীর কাছে একাধিকবার হাতে গলায় ধরা পড়ে গ্রাম্য শালিশে দোষী সাব্যস্ত হলেও বন্ধ হয়নি তাদের অবৈধ পরকীয়া।অবশেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার একাধিক অভিযোগের সত্যতা পেয়ে শরীফার আবাসনের ঘরটি বাতিল করে দেন।
এ অবস্থায় নিজ পিত্রালয়ে বসবাসকালীন গত ১২ই মে গভীর রাতে শরিফা খাতুন এর ঘরে আবাসনের লম্পট রিপন মিয়া কে এলাকাবাসী আটক করে ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে থানা পুলিশের সোপর্দ করে।নিজেকে বাঁচাতে জনৈক সাংবাদিক হৃদি মোতালেব এর সহযোগীতায় শরীফা খাতুন বাদী হয়ে রিপন মিয়াকে আসামি করে ফুলপুর থানার মামলা নাম্বার ১৭ তারিখ ১২/৫/২০২২ ইং ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী ২০০৩ এর ৯(৪)(গ) রুজু করে।
উক্ত মামলায় ২৭ দিন কারাভোগ করে জামিন পেয়ে লম্পট রিপন মিয়া ময়মনসিংহ কারাগার থেকে বের হয়ে ২৩ শে জুন মামলার ধার্য্য তারিখে বাদী শরিফা খাতুনকে ফুসলিয়ে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে আত্মগোপনে চলে যায়।একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়,ঢাকার ধামরাই ঢুলিভিটা এবং গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ঘর ভাড়া রেখে উক্ত রিপন মিয়া বিয়ের প্রলোভনে তার অপর সহযোগী আলমগীর এবং রাজ মিয়ার সহযোগীতায় ৬ মাস আটকে রেখে পালাক্রমে শরীফাকে ধর্ষণ করে।অনেক চেষ্টা তদবির করেও রিপন মিয়াকে বিয়েতে রাজী না করাতে পেরে গত ১৭/১২/২০২২ ইং তারিখ শরীফা নিজে নিজেই বাড়ীতে ফিরে আসে।এ ব্যাপারে বড় ভাই সোহাগ মিয়ার সাথে বাক্ বিতন্ডা হলে শরীফা খাতুন তার ভাইকে ফাঁসাতে মা আনোয়ারা খাতুনের যোগসাজসে শরীরে কাপড়ে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার নাটক তৈরী করেছে বলে বওলা বাজারের একাধিক সুত্র এ প্রতিনিধিকে জানান।
গতকাল বিকালে সরেজমিন ঘটনাস্থল বওলা ঘুরে এসে ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন শরীফা খাতুনের কাছে বিষপানে আত্মহত্যা চেষ্টার কারণ জানতে চাইলে সে সাংবাদিক তপু রায়হান রাব্বিকে বলেন,"আমি এইটা থানাত যাইয়াম,থানাত কইয়াম এনো কইতাম না।"এ সময় সে থানা পুলিশ এবং সাংবাদিক সমাজকে নিয়েও বিষোদ্গার করে।
ফুলপুরের মিডিয়াপাড়ায় খবর নিয়ে জানা যায়,রিপন-শরীফা কান্ড নিয়ে ইতিপূর্বে তার প্রতিবাদী ভাই সোহাগ সহ কতক মিডিয়া কর্মীকে কে ফাঁসাতে ১১অক্টোবর/২০২২ ইং তারিখে ষড়যন্ত্রমূলক আত্মহত্যার হুমকি সম্বলিত দুইটি ফেসবুক লাইভ প্রচার করে ভাইরাল হয়।কিন্তু সাংবাদিকরা সরেজমিন তদন্তকালে সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে তার পরকীয়া প্রেমিক লম্পট রিপনের কাছে ভোগড়া বাইপাস এলাকায় পালিয়ে যায়।
নিজের সহোদর ভাইকে ফাঁসাতে অসংখ্য অঘটন ঘটন পটিয়সী দুর্দান্ত ধাপ্পাবাজ নাটকী দুষ্ট চরিত্রের স্বামী পরিত্যাক্তা শরীফা খাতুনের এবারের আত্মহত্যা নাটকে এলাকায় রসালো আলোচনার ঝড় তুললেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ কেউ থানায় কোন করেননি বলে ফুলপুর থানার ডিউটি অফিসার এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করেছেন।
0 Comments