বন্দরের দক্ষিনাঞ্চল যেন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে, র‍্যাবের অভিযান জরুরি


নিজস্ব সংবাদদাতা: বন্দরের দক্ষিনাঞ্চল খ্যাত কলাগাছিয়া ইউনিয়ন হতে মদনগঞ্জ কয়লা ঘাট পর্যন্ত এলাকা মাদক সম্রাট, তেল চোরসহ নদী পথে ডাকাতদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সরকার দলীয় ও বিএনপির সমর্থিত কতিপয় অসাধু চক্রটি ঐক্য হয়ে এমন কোন হীন কাজ নেই যেন তাদের দ্বারা অসম্ভব। রীতিমত ধরাকে সরা করা যাদের কাজ হয়ে পড়েছে। কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্তার সাথে সখ্যতার মাধ্যমে সকল প্রকার অপকর্ম করে বহাল তবিয়তে রাজত্ব করছে। বিপাকে পড়েছে এলাকাবাসী। পান থেকে চুন কষলেই এলাকায় অরজগতা করে এলাকাবাসীকে নীরব থাকতে বাধ্য করে বলে গোয়েন্দা সংস্থা ( ডিএসপি)র' রির্পোটে প্রকাশ করেছে। সূত্র মতে, বন্দরের কলাগাছিয়া ৩ নদীর মোহনা থেকে মদনগঞ্জ কয়লা ঘাট পর্যন্ত নদী পথে সকল প্রকার অপকর্মের জন্য ২০/২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। নদী পথে রাত হলেই তাদের দেখা মিলে বিভিন্ন রুপে। একাধিক গ্রুপ ট্রলার যোগে নদী পথে শুরু করে অপকর্ম। বিভিন্ন তেলবাহী জাহাজ হতে অবৈধভাবে তেল চুরি, ডাকতি সহ মাদকের চালান পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। মাদক সম্রাট ব্লাক জনি, দক্ষিণ ঘারমোড়া এলাকার শফিউল্লাহ ছেলে ডালিম, গুলজারের ছেলে সাদ্দাম ও মাদক ব্যবসায়ী রোমন ওরফে ক্যাপ রোমানের নের্তৃত্বে চলছে যত প্রকার অপকর্ম। এই সিন্ডিকেটের সকল কিছু করার মত ক্ষমতা রাখে। বন্দরে উদ্বোধনের ২৪ ঘন্টা পার না হতেই অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক/কর্মচারী ইউনিয়নের মদনগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর তান্ডব চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী রোমন ওরফে ক্যাপ রোমান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা। আলীনগর এলাকার রমজান ওরফে চুক্কা রমজান, আবুল বাশার, রোমান ওরফে ক্যাপ রোমান,মদনগঞ্জ এলাকার জাহাঙ্গীর ওরফে কাইল্লা জাহাঙ্গীর, ঘারমোড়া এলাকার মহিত মিয়ার ছেলে অনিক,চরধলেশ্বরী এলাকার ইসলাম, শাকিল,পারভেজ, চুনাভূরা এলাকার শফিকুল, আলতাফ, লেংটাপাড়া এলাকার মাদক সম্রাট আউয়ালের ছেলে কাউসারদের চক্রটি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মাদক সম্রাট রোমানের নের্তৃত্বে বাহিনীটি মদনগঞ্জে নৌ-যান শ্রমিক কার্যালয়ে তান্ডব,বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী’র ছবি ভাংচুর করতেও পিছু হঠেনি। নদীর সামনে কার্যলয় থাকলে তাদের নদী পথে অপকর্ম করতে সমস্যা হতে পারে এমন চিন্তাধারা নিয়ে শুরুতেই তান্ডব চালিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দেন। নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়ার তামিম সরকার, সোনাকান্দার আবুল বাশার, ইব্রাহিম কাশেম, হাবিবুর রহমান হাবিব মেম্বার তাদের শেল্টারদাতা বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই চক্রের ৫ জনকে সম্প্রতি ডিবি পুলিশ তেল চুরিরত অবস্থায় চোরাই তেলসহ গ্রেফতার করেছিল। তেল চুরিসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ডালিম, রোমান বাহিনী একাধিক বার সংঘর্ষ হয়েছে। এদিকে গত ১৩ জানুয়ারী শুক্রবার রাতে থানার মদনগঞ্জ শান্তিনগরস্থ নদীর পাড়েমদনগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার কার্যালয় ক্ষতিগ্রস্থ বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর তান্ডব চালিয়েছে মাদক ব্যবসায়ী রোমন ওরফে ক্যাপ রোমান ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা ।
আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি সোহেল রানা সাংবাদিকদেরকে জানান,গত শুক্রবার নৌ-যান শ্রমিকদের নিরাপত্তার জন্য মদনগঞ্জ আঞ্চলিক শাখার অফিসটি শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উদ্বোধণ করে গেছেন অথচ এর ২৪ ঘন্টা পার না হতেই মাদক ব্যবসায়ী ক্যাপ রোমান দলবল নিয়ে আমাদের অফিসে তান্ডব চালিয়েছে। শুধু তান্ডবই চালায়নি তারা অফিসে থাকা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের ছবিও ভাংচুর করেছে। বিষয়টি বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদেরকে জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনের আশ্রয় নিবো। আমাদের কার্যালয়ের সমস্ত কিছু যেভাবে কুপিয়েছে তাতে আমাদের সেক্রেটারিয়াল টেবিলে রক্ষিত নগদসহ প্রায় ৬লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ হলেও পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক অপরদিকে নিরাপত্তাহীনতাই রয়েছে বাদী।
বন্দর জন ডিএসপির ওয়াচ প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৩/১/২০২৩ ইং তারিখ বিকাল অনুমান ৫,১৫ ঘটিকার সময় বন্দর থানাধীন মদনগঞ্জ শান্তিনগর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করিয়া ১। ক্যাপ রোমান (২৮) পিতা আদু মিয়া সা; সৈয়াল বাড়ি ঘাট ২। শাহপরান (২৭) পিতা অজ্ঞাত সা; শান্তিনগর ৩। অনিক(২৫) পিতা অজ্ঞাত সাং মদনগঞ্জ সর্ব থানা বন্দর জেলা নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন লোক বাংলাদেশ নৌ যান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন অফিসে ঢুকিয়া অফিসে লটকানো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি , জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও অফিস ভাঙচুর করে অফিস ঘরের টিনের বেড়া কোপাইয়া অফিসের চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। এই চক্রটি এমনই অবস্থায় রয়েছে যেখানে কেউ টু- শব্দ করতে সাহস পায় না। বন্দরের দক্ষিণাঞ্চলে যেকোন সময় প্রান হানীর মত ঘটনা ঘটতে পারে বলেও শংকা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। দক্ষিণাঞ্চলের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাবের অভিযান জরুরি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

Post a Comment

0 Comments