রুপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মিজানুর রহমান মিজান বলেন জিয়াউর রহমানের ডাক নাম কমল, তাকে স্মরণ করতে গিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান তার এক লেখায় উল্লেখ করেছেন, ‘জিয়া একটি ইতিহাস। জিয়া একটি প্রতিষ্ঠান। জিয়া একটি বৈপ্লবিক চেতনা। জিয়া একটি রাজনৈতিক দর্শন।’
১৯৬৫ সালের পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে (অধিকাংশ বাঙালি সৈনিক ও অফিসার নিয়ে গঠিত) কোম্পানি অধিনায়ক ক্যাপ্টেন জিয়া প্রচ- সাহসিকতার সঙ্গে চরম রণদক্ষতা প্রদর্শন করেন। ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পড়েন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে প্রথমে তিনি ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার নিযুক্ত হন এবং চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, রাঙামাটি, মিরসরাই, রামগড়, ফেনী প্রভৃতি স্থানে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত করেন। জুন থেকে অক্টোবর পর্যন্ত যুগপৎ ১১ নম্বর সেক্টরের ও জেড-ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বের জন্য তাকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিপথগামী একদল সেনাসদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যার শিকার হন। এর পর ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে তিনি নিহত হন। জিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতার সময়কাল সংক্ষিপ্ত হলেও রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি, কৃষি, শিল্প, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, নারী, শিশু সবকিছুতেই একটা বিপ্লব ঘটান। জিয়ার বড় অবদান বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ-এর ওপরই তার চেতনা ও রাজনৈতিক দর্শন প্রতিষ্ঠিত। স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি তার বড় অবদান। জিয়ার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, তার দূরদৃষ্টি, বৈপ্লবিক চেতনা, বিশ্বাস ও স্বাধীনচেতা দৃঢ় চরিত্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
0 Comments