ময়মনসিংহ বোররচর ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের ২১৬০ কেজি চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠারপর জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন গত ১ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে ভুক্তভোগী তিনজন নাজমা খাতুন, সেলিনা আক্তার, মো: রুকেয়া খাতুন। এবিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবর নাজমা খাতুন, সেলিনা আক্তার, রুকেয়াসহ তিনজন অভিযোগ দায়ের করেন বুধবার ১৮ জানুয়ারী ইউপি সদস্য সোবহান ও সচিব রাশেদুল ইসলাম নাজমা খাতুন কে ৭২০ কেজি চাল আত্নসাতের মধ্যে ৩৬০ কেজি চাল ফেরত দিলেন।
চাল ফেরত পেয়ে নাজমা খাতুন জয়বার্তা২৪ ডট কম প্রতিনিধিকে জানান অন্য দুইজন অভিযোগকারী এখনো তাদের চাল ফেরত পাননি । আমি আরও ৩৬০ কেজি চাল ফেরত চাই।
ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিনিধিকে বলেন এই চাল স্টকে ছিলো । স্হানীয়দের প্রশ্ন গত দুই বছর ধরে নাজমা খাতুনসহ অন্যদের চাল স্টকে ছিলো ।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৩নং বোররচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের চাউল আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ার পর অনলাইন পোর্টাল জয়বার্তা২৪ ডট কম এ নিউজ প্রকাশিত হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২১-২২ অর্থ বছরে ‘ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট’ (ভিজিডি) কার্ডের তালিকায় বোররচর ইউনিয়নের বনপাড়া গ্রামের মোছাঃ নাজমা খাতুন স্বামী হোসেন আলী যার ভিজিডি কার্ড নম্বর ২৬,মোছাঃ সেলিনা আক্তার স্বামী মজিবর রহমান বোররচর বনপাড়া ভিজিডি বহি নং- ৩৩,মোছাঃ রুকেয়া খাতুন স্বামী আজিজুল ইসলাম বোররচর ভাটিপাড়া ভিজিডি বহি নং- ৪৫,গত ২বছর পূর্বে ভিজিডি কার্ডের জন্য ছবি ও ভোটার কার্ড নিয়েছিলেন ইউপি সদস্য সোবহান মেম্বার । নাজমা’র নামে চাউলের কার্ড হয়নি বলে জানান ইউপি সদস্য ও ইউপি সচিব রাশেদুল ইসলাম ।
ভুক্তভোগী নাজমা খাতুন ২ বছরেরও উত্তোলন করেননি ভিজিডি কার্ডের চাউল। তার পক্ষে কে বা কাহারা ভিজিডি কার্ডের চাউল উত্তোলন করছে তা সে জানেন না। উপকারভোগীর নামে ২ বছর পরে আইসি ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন।
নাজমা, রুকেয়া সেলিনা নামের কার্ডের বিপরীতে ২৪ মাসে ৩০ কেজি করে ২১৬০ কেজি চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এবিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক বরাবর নাজমা খাতুন, সেলিনা আক্তার, রুকেয়াসহ তিনজন অভিযোগ দায়ের করেন ।
জয়বার্তা২৪ ডট কম প্রতিনিধির সাথে কথা হলে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো: মোস্তাফিজার রহমান বলেন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, প্রমানিত হলে দোষীদের ব্যাপারে ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
0 Comments