বর্তমান বিদ্রোহী কবি নামে খ্যাত কবি ইয়াকুব কামাল অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ মিজমিজি পাইনাদী নারায়ণগঞ্জ নদী ঘাতকদের হামলার শিকার মৃত প্রায় কংস নদীর তীরে বাতান পাড়া এলাকায়।কবি ইয়াকুব কামাল মূলত অকুতোভয় প্রতিবাদী কবি।তার লেখায় প্রাণ প্রকৃতি ও অসহায় গরীব-দুঃখী সহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে তীক্ষ্ণ ক্ষুরধার লেখা প্রকাশ পায়।তারই ধারা বাহিকতায় কবি জাতিসংঘকে উৎসর্গ করে “স্যালুট জাতিসংঘ স্যালুট"নামে একটি কবিতা লেখেন।সেই কবিতাটি ফেসবুকে প্রকাশ করেন এবং কবিতাটি লিফলেট করে এলাকাবাসীর কাছে পৌঁছে দেন।লেখাটি কংস নদী উদ্ধার করতে আসা সেনাবাহিনীদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কবিতাটি লেখেন।“স্যালুট জাতিসংঘ স্যালুট” কবিতাটি নদ-নদী বন কৃষি জমি পাহাড় খাদক সহ অন্যায়ের মুখপাত্র হয়ে উঠে।তার প্রতিবাদী কবিতাগুলো অন্যায়ের ভীত নাড়িয়ে দেয়।তার পিছনে অনেক দিন ধরেই দুর্বৃত্তরা ওৎ পেতে থাকে তাকে জীবনে শেষ করে দেওয়ার জন্য।কবি বলেন প্রথম রোজায় যখন তারাবি নামাজে সবাই মসজিদে উপস্থিত ছিলেন তাই রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় কবিকে নয়টার পরে মিজমিজি গ্রামের বাতান পাড়া পাগলা বাড়ির ভিতর আঁধারে কবিকে একা পেয়ে বলে রাখ তর কবিগিরি ছোডাইতাছি বলে কবি কিছু বুঝে উঠার আগেই কয়েকজনে মিলে কবির উপর অতর্কিত হামলা করে বসে।কবি ইয়াকুব কামাল মার খেতে খেতে লোকালয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় কবিকে ডাক্তার দেখিয়ে এলাকাবাসী ও কয়েকজন সাংবাদিক মিলে বাড়িত পোঁছে দেন।কবি এখন বাড়িতে অসুস্থ অবস্থায় পগে আছেন।তার সাক্ষাৎকার নিতে গেলে কবিকে স্বাভাবিক অবস্থা দেখা যায় নি।এলাকা কবিকে রক্ষার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
স্যালুট জাতিসংঘ স্যালুট
ইয়াকুব কামাল
আমার প্রিয় কংস নদী আজকে মৃত প্রায়,
সেই নদীকে দেখো কারা উদ্ধার করে যায়।
বাংলাদেশের রক্ষা কবচ বাংলার প্রশাসন,
বাংলাদেমশের প্রাণ প্রহরী গর্বিত সেনাগণ।
আমার দেশের প্রাণ প্রকৃতি করছ তোমরা উদ্ধার,
দেখবো কারা দিসরে বাঁধা কে কোন দলের পোদ্দার।
আরে নদ-নদী বন কৃষি জমি পাহাড় রক্ষা হলে,
লাভ হবেতো দেশজনতার জাতিসংঘ বলে।
জাতিসংঘ বিশ্ব রক্ষায় সারাবিশ্বে ভাই,
সারাজীবন ঢালছে টাকা কারোই খবর নাই।
বাংলাদেশের বিবেকবান প্রশাসনের সৈনক,
শান্তি মিশন জাতিসংঘে সুনাম রাখছে দৈনিক।
জাতিসংঘের জন্য আমার কংস নদী আজ,
উদ্ধার হয়ে নদীর আবার পাবে আগের সাজ।
আগের মতো গাইবে পাখি পরাণ ডানা মেলবে,
সোনার ফসল পরাণ খুলে খেলবে হাওয়ায় খেলবে।
শিশুরা সব লাফালাফি করবে কংস জলে,
কৃষাণ রাখাল জেলে মাঝি ঐ যে শুনি বলে।
প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা হলে বাড়বে ফসল দেশে,
দ্রব্য মূল্য কমে যাবে সোনার পরিবেশে।
কেউ রবে না অনাহারে থাকবে না আর অভাব,
আসবে ফিরে সোনার বাংলার আগের লক্ষ্মী স্বভাব।
প্রাণের প্রিয় জাতিসংঘের সহযোগিতায়,
প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা হবেই স্বপ্ন বলে যায়।
এমন করে সারাবিশ্বের প্রাণ প্রকৃতি উদ্ধারে,
থাকবে পাশে জাতিসংঘের সকল সরকার বোদ্ধারে।
তাইতো সবাই বলেন শুনি জাতিসংঘ ঐশী দূত,
আমরা তোমায় জানাই স্যালুট জাতিসংঘ স্যালুট।
0 Comments