ময়মনসিংহ সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের জন্য চল্লিশ দিনের কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এসব কর্মসূচির প্রকল্প তালিকায় দরিদ্র ব্যক্তিদের নাম থাকলেও বাস্তবে মাঠে কোনো কাজ করেননি শ্রমিকরা। তাই প্রকল্পের চলমান কাজ না করেই করে এলাকার গরিব অসহায় মানুষের কর্মসংস্থানের ভুক্তভোগীরা টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, ৪০ দিনের কর্মসূচির আওতায় ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অতিদরিদ্রদের জীবন মান উন্নয়নের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির মোট ১৫৫ জন উপকারভোগি রয়েছেন।
শ্রমিকদের নাম দিয়ে, স্বাক্ষর, টিপসই জাল করে এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও ছবি জালিয়াতি সিম কার্ড না দিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরানগঞ্জের ৪০ দিনের কর্মসূচিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কাজ না করে শতভাগ কাজ ও শ্রমিক উপস্থিতি দেখিয়ে কোটি টাকা লুটপাট করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফ এর বিরুদ্ধে ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অধিকাংশ প্রকল্পেই শ্রমিককে দেয়া হয়নি জবকার্ড ও মোবাইল ব্যাাংকের সিম কার্ড দেওয়া হয়নি শ্রমিকদের মাঝে। আর অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করে অতিদরিদ্রদের জন্য বরাদ্ধকৃত এ প্রকল্পের সরকারি অর্থ লুটে-পুটে খাচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফ। এতে স্থানীয় শ্রমজীবী মানুষ বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি বেস্তে গেছে সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে শ্রমিক দিয়ে মাটি কেটে এসব প্রকল্পের কাজ করার বাধ্যবাধকতার কথা থাকলেও সেখানে মাটি না কেটে সরকারের টাকা আত্মসাৎ করছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবু হানিফ সরকার। অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে সরকারের গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় বৃদ্ধির কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।
বিধিমালা অনুযায়ী প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বাদে বাকি ৫ দিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত শ্রমিকদের কাজ করার বিধান রয়েছে। একজন শ্রমিক প্রতিদিন কাজের পারিশ্রমিক হিসেবে ২শ’ টাকা হারে মোট ৪০ দিন কাজ করে এ প্রকল্পের একজন শ্রমিক মোট ৮ হাজার টাকা নিজ মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে পারিশ্রমিক পাবেন।
এ ব্যপারে ইউপি সচিব, গোপাল লাল চৌধুরী বলেন, চলমান ২০২২/২৩ অর্থ বছরের শ্রমিকের সংখ্যা ১৫৫ জন। শ্রমিকদের তালিকা চাইতে গেলে তথ্য না দিয়ে বলেন তথ্যইনে দরখাস্ত লেখেন।
এ ব্যাপারে সঠিক তদন্তপূর্বক বিচার হওয়া দরকার। এ দিকে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে চেয়ারম্যানের কাছে কর্মসূচির তালিকা চাইলে উপজেলা পিআই অফিস দেখান।
0 Comments