বন্দর প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ বন্দর ১নং খেয়াঘাটের মাঝি সমিতির সাবেক সভাপতি শিবু দাসের ছেলে নিপু দাস মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লি: নামে একটি এনজিওর নামে এলাকার নিরীহ মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ভুক্তভোগীদের দাবী বন্দর জেনারেল হাসপাতাল দেখিয়ে আমাদের বোকা বানিয়ে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাসের পর মাস টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করছে নিপু দাস। টাকা আদায় করতে সামাজিক ও আইনগত ব্যবস্থা নিয়েও টাকা তুলতে পারছেনা ভুক্তবোগীরা।
২৮ মার্চ (মঙ্গলবার) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বন্দর বাজার এলাকায় বন্দর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক প্রতারক নিপু দাস মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লি: নামে একটি এনজিও খোলে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
দিন মজুর গরিব অসহায় মানুষসহ বিভিন্ন দোকানীদের এনজিওর সাইনবোর্ড লাগিয়ে লোন দিয়ে দিগুন টাকা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক নিপু দাস।
গ্রাহকদের জমানো টাকা ফেরত পেতে মাসের পর মাস হয়রানী স্বীকার হতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। টাকার জন্য চাপ দিলে নিজেরাই হাসপাতাল ভাংচুর করে গ্রাহকদের মামলার ভয়ভীতি দেখায় নিপু দাসের পিতা প্রতারক শিবু দাস।
বন্দর জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক নিপু দাসের প্রতারণার স্বীকার গ্রাহক, আমেনা বেগম ২৫ লক্ষ টাকা, লিজা ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সোহাগ ৩ লক্ষ টাকা, রানুর ১ লক্ষ টাকা, আনছার মিয়ার ৬০ হাজার টাকা, আওয়াল ১৭ হাজার টাকা, তিননাথ ৬ হাজার টাকা, সুরিয়া ৪ হাজার ৫শত টাকা, রবি ২০ হাজার টাকা, মনু ৬ হাজার টাকা, হালিমা ৮০ হাজার টাকা, ডা: রাসেল ৭ হাজার টাকাসহ অসখ্য গ্রাহকের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
এব্যাপারে প্রতারণা স্বীকার ভুক্তভোগীরা জানায়, বন্দর জেনারেল হাসপাতালে অন্তরালে মায়ের ছায়া শ্রমজীবি সমবায় সমিতি লি: এর গ্রাহকরা অল্প টাকায় চিকিৎসা পাবে বলে প্রলোভন দেখায়। কিন্তু এখন আমাদের পাওনা টাকা ফিরত চাইলে নানা তালবাহানাসহ বিভিন্ন হুমকি দেখাচ্ছে প্রতারক নিপু দাস ও তার পিতা শিবু দাস।
টাকার জন্য মাসের পর মাস ঘুরেও টাকা দিচ্ছে না প্রতারক নিপু দাস। আমাদের টাকা উদ্ধার এবং হাসপাতালের অন্তরালে মানুষের সাথে প্রতারণা প্রতারক নিপু দাস ও তার পিতা শিবু দাসের শাস্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা সিভিল সার্জনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে প্রতারক নিপু দাসের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়না।
এব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রতারণার বিষয়টি শুনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
0 Comments