সরকারি দলের লোকেরা পালিয়ে যায় আমরা পালিয়ে যাইনা- গিয়াসউদ্দিন





নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, এদেশের জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। এই সরকার বিভিন্ন মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার দেখিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। এই সরকারের দু:শাসনের কারণে আজ সব জিনিসপত্রের দাম বেশি। জিনিসপত্রের অতিরিক্ত দামের কারণে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মাহে রমজানেও তারা শান্তিতে রোজা রাখতে পারছে না। জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে সাধারণ মানুষ নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের জন্য শুধু বিএনপি আন্দোলন করে যাচ্ছে। এই স্বৈরশাসকের অবসান ঘটানো না পর্যন্ত বিএনপি এই আন্দোলন সংগ্রাম করেই যাবে।


রোববার (২৬ মার্চ) দুপুরে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকার বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।


গিয়াস উদ্দিন বলেন, আপনারা পালিয়ে বেড়ান। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমতায় ছিল। তখন আমি  পার্লামেন্ট মেম্বার ছিলাম। এত বছর যাবৎ আপনারা নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে চলে গেছেন। আমরা যাইনি। আপনারা এতো মামলা দেন, হামলা করেন, জেলে যাই আবার নিজের ঘরেই ফিরে আসি। আপনারা অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলেন। আমরা তো কোথাও যাইনি। মানুষের ভোটে নির্বাচিত না হয়েই জনগণের নেতা হতে চান। জনগণ এসকল বসন্তের কোকিলদের চেনে। আপনারা বসন্তের কোকিল হয়ে থাকেন। আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষদের ছেড়ে কোথাও যাবো না। আপনারা কি উন্নয়ন করেছেন তা জনগণ দেখে। সামান্য বৃষ্টি হলে ডিএনডির মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না। বলে অনেক উন্নয়ন করেছেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন আমরা আদমজী বন্ধ করে এখানে ইপিজেড করেছি। এই অবদান বিএনপি সরকারের। আপনারা নারায়ণগঞ্জে একটা উন্নয়ন দেখান। রাস্তার জন্য টাকা আসে পার্সেন্টেজ আগেই নিয়ে যান। আমরা খবর পাই ঠিকাদারদের কাছ থেকে।


তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশ যখন কঠিন মুহূর্তে ছিল, জাতি যখন দিশেহারা তখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সবাইকে স্বাধীনতার ডাক দেন। তার ডাকে সবাই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তাই আজকের এই দিনে সবাই তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল, আমি নিজেও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী থেকে দেশকে মুক্ত করে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার কায়েম করা। ওই দেশকে স্বাধীন করতে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে আমাদের যে ত্যাগ তিতিক্ষা করতে হয়ে তা সবারই জানা। কিন্তু স্বাধীনতার এত বছর পরও দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নেই, আইনের শাসন নেই। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দু:খজনক।


তিনি আরও বলেন, এই সরকারে ভালো মানুষও আছে আবার খারাপ মানুষও আছে। যারা খারাপ তারা অত্যাচার করছে, লুন্ঠন করছে। যারা ভাল মানুষ আছে, তারা তাদের মোকাবিলা করতে পারছে না। আমি আবার বলতে চাই যারা ভাল দলের আছেন যারা খারাপ তারা এত অন্যায় করেছে যে তাদের পাপের বোঝা ভারি হয়ে গেছে। বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে। বিদায়ের বেলায় এই অসৎ মানুষদের কথায় আপনারা পা দিবেন না। সময় খুব খারাপ আসছে। যারা অর্থ লুট করেছে তারা আসুন মোকাবিলা করুক। আপনারা আসবেন না। শেষ সময়ে আপনারা এসে বিপথগামী হবেন না। ভাল মানুষের মূল্য সবসময় থাকে। খারাপ মানুষের মূল্য সাময়িক সময়ের জন্য। এখন সতর্ক হয়ে চলুন। আমাদের আন্দোলন সংগ্রামে আপনারা অংশগ্রহণ করতে না পারেন, এটার বিরোধীতা করবেন না। একদিন আমরা সেটা বিবেচনা করবো।

Post a Comment

0 Comments