২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল ভারতের রাজধানী দিল্লির দেরাদুন শহরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন নাসিম ওসমান।
তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে ১৯৮৮৪, ১৯৮৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
প্রয়াত নাসিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের প্রয়াত ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন, সাবেক এম এল এ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহোচর ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠার অন্যতম ব্যক্তিত্ব মরহুম একেএম শামসুজ্জোহা ও প্রয়াত ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহার বড় ছেলে এবং বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ-৫ ও ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ও একেএম শামীম ওসমানের বড় ভাই।
সেই সঙ্গে তিনি ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে সব থেকে বেশি মেয়াদে নির্বাচিত সংসদ সদস্য।
নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর সংসদে বক্তব্য দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
নাসিম ওসমানের শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওসমান পরিবারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর একটা নিবিড় সম্পর্ক ছিল। ওই পরিবারে বসেই জন্ম হয়েছিল আওয়ামী লীগের। শামীম ওসমানের দাদা খান সাহেব ওসমান আলী এবং বাবা শামছুজ্জোহা খান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত কাছের মানুষ। নাসিম ওসমান বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে একটি যুব ব্রিগেড গড়ে তুলেছিলেন। পরে জাতীয় পার্টি করলেও তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের। ’
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ওসমান পরিবারের অবদানের কথা স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি তাদের প্রয়োজন হয়, দেখাশোনা করব। ’
জীবদ্দশায় নাসিম ওসমান শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণের ব্যাপারে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। নারায়ণগঞ্জ এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু নির্মাণের শেষ দিকেই এ সেতুর নামকরণ করা হয় ‘নাসিম ওসমান সেতু’।
শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ছিল জাতীয় পার্টির কার্যালয়। সেখানে নিয়মিত বসতেন নাসিম ওসমান। আজ সেই কার্যালয় ভেঙে বহুতল ভবন করা হচ্ছে।
0 Comments