খোকন এর জনপ্রিয়তা এখনো শীর্ষে তৃনমুল নেতাকর্মীরা খোকন কেই চায় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে


 আর দুইদিন পর জেলা বি এন পির সম্মেলন নারায়ণগঞ্জ এর ইতিহাস এ সবচেয়ে জমজমাট সম্মেলন হবে জেলা বি এন পির, এই সম্মেলন কে ঘিরে নেতাকর্মীরা অনেক উল্লাসিত। প্রায় ১৪ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ কাউন্সিল, তাই কাউন্সিলকে ঘিরে রয়েছে ব্যাপক উদ্দীপনা,


জেলা বি এন পির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন নেতা, জেলা বি এন পির আহবায়ক কমিটি হবার পর গিয়াস খোকন এর নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে যায়,প্রতিটি প্রোগ্রাম সাকসেসফুল ভাবে নেতৃত্ব দেয় গিয়াস, খোকন। জেলা বি এন পির কাউন্সিল কে ঘিরে তৃনমুল নেতাকর্মীরা জেলা বি এন পির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন কেই সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দেখতে চায়।

 নেতাকর্মীরা বলেন খোকনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জে সেখানকার এমপি ও মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে পাপ্পা গাজী হুংকার দিয়েছেন হুশিয়ারীও করেছেন। তাঁর বাড়ির সামনে জায়গা দখল করে যুবলীগের কার্যালয় নির্মিত হয়েছে মর্মে আদালতে মামলাও হয়েছিল। দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, বিগত দিনের কমিটির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানাভাবে যোগাযোগ সম্পর্ক ও তল্পিবাহক থাকলেও এখনকার কমিটির সঙ্গে সম্পর্ক পুরোটাই সাউপে নেউলের।

তরুণ বয়সে রূপগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের পাশাপাশি মুড়পাড়া কলেজের ভিপি হিসেবেও ছিলেন জাদরেল নেতা। যুবদলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে যেখানে কমিটি বাণিজ্য কিংবা অর্থনৈতিক লেনদেনের বিষয়টি প্রতীয়মান সেখানে উল্টো দলের জন্য বিশ্বস্ত খোকন। এ খোকন আবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপুর ঘনিষ্ঠজন। দিপুর পক্ষে থাকার কারণে মুড়াপাড়ায় রূপগঞ্জে গোলাম ফারুক খোকনের বাড়ির গেটের বিপরীতে জমিতে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের কার্যালয় বা স্থাপনা নির্মাণ করতে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পরেও সেখানে কাজ চলমান আছে। এ অবস্থায় সেখানে ৩১ জুলাই কার্যালয় উদ্বোধন করে রীতিমত খোকনকে কড়া ভাষায় হুশিয়ারী দিয়েছেন মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ছেলে গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা।

গোলাম ফারুক খোকন বলেন, ২২ মে মুড়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আমার বাড়িতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলিবর্ষণ করে এবং কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এর পর থেকেই ক্ষমতাসীন দলের লোকজন আমাদের বাড়ির আশেপাশে মহড়া দিচ্ছে। এখন সেখানে তারা যুবলীগের অফিস বানাচ্ছে। ২২ জুন আমাদের লোকজন বাধা দিলে প্রথমে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আবার পুলিশের উপস্থিতিতে কাজ শুরু হয়।

এর আগে ২০১৫ সালে ভূইয়া দিপুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে রেখেছিল ছাত্রলীগের বাহিনী। সে সময়ে দিপু ভূইয়াকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারধর ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতের শিকার হন ছাত্রদলের সালাউদ্দিন, রাকিব সহ আরো কয়েকজন। ওই বছরের  ২৮ অক্টোবর দুপুরে গোলাকান্দাইলে দিপুর বাড়িতে আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা যুবদল। দুপুর উপজেলা যুবদলের গোলাম ফারুক খোকনের নেতৃত্বে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গোলাকান্দাইল এলাকায় একটি র‌্যালী বের করে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা, গোলাকান্দাইল, বলাই খাঁ, সাওঘাট এলাকা প্রদক্ষিণ শেষে র‌্যালিটি কাচারীবাড়িতে এক সংক্ষিপ্ত সভার আয়োজন করলে উপজেলা ছাত্রলীগের ৪০-৪৫জন নেতাকর্মী হামলা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের লোকজন দিপুর বাড়ির বেস্টনীর ভেতরে প্রবেশ করে লাঠিসোটা নিয়ে একের পর এক গাড়ি ভাঙচুর ও বাড়িতে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ওই সময়ে দিপু বাইরে এসে নিজের দলের লোকজনদের উদ্ধার করতে আসলে ছাত্রলীগের লোকজন প্রথমে বাধা দেয়। কিন্তু দিপু তার পরেও নেতাকর্মীদের উদ্ধার করতে এলে দুই ক্যাডার দিপুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। তখন তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডাও ঘটে।

বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, গিয়াস ও খোকনের বিরুদ্ধে দলের একটি গ্রুপের অভিযোগ তারা দলকে গতিশীল করেছেন, কারণ সুবিধাভোগীরা এ ধরনের নেতৃত্ব চায়নি, তারা চেয়েছিল এমন তল্পিবাহক নেতৃত্ব যারা নিয়ন্ত্রকদের ইশারায় পকেট কমিটি গঠন ও কমিটি বাণিজ্যকরণ করতো।


Post a Comment

0 Comments