বিশেষ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং লিডার মুজাহিদ ও তার বাহিনীরা।
জানা যায়, কুতুবপুরের আদর্শ নগর, বাদামতলা, শহীদ নগর, দৌলতপুর সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি এলাকাতে মুজাহিদের রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী।আর এই বাহিনীর মাধ্যমে মুজাহিদ এলাকায় সন্ত্রাস মাদক চাঁদাবাজসহ নানান অপকর্মের রাজত্ব কায়েম করেছে। তার এই অপকর্মের কেউ বাধা দিতে আসলে তাকে কুপিয়ে যখন করি তারপরে ঠান্ডা হন এই মুজাহিদ। মুজাহিদ এলাকার মধ্যে যেন এখন আতঙ্কের নাম।
তার ওই ধারাবাহিকতায় গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় দৌলতপুর এলাকায় ইব্রাহিম নামে ব্যবসায়ীর কাছে লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন দাবি করেন। আর সেই চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালেই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে যখন করে সন্ত্রাসী মুজাহিদ ও তার কিশোর গ্যাং বাহিনীর লোকজন।
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নূর জাহান (৩৯), জাতীয় পরিচয় পত্র নং- ৩৭৩৭৪০৪৬৩, স্বামী-
আগর, সাং- পাগলা দৌলতপুর, কুতুবপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়গঞ্জ থানায় হাজির হইয়া বিবাদী
১। মুজাহিদ (২৬), পিতা- গাজী মোল্লা, সাং- পাগলা শহীদনগর, কুতুবপুর ২। আল আমিন (২৭), পিতা-
আজিজুল, ৩। জাহাঙ্গীর (৪৫), পিতা- আজিজ মেম্বার, ৪। তানজিদ (২০), পিতা- আহঙ্গীর, সর্ব সাং- পাত
ওয়েজকরী ৫ টি (২৬), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- পাগলা নূরবাগ, ৬। মোঃ আদর (২৬), পিতা- নাত,
সাং- পাগলা ওয়েজকরনী, ৭। মোঃ মোস্তফা (৫২), পিতা- অম্লাত, সাং- ভূঁইগড় গিরিধারা, সর্ব থানা- ফতুল্লা,
জেলা- নারায়ণগঞ্জ সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে,
আমার ছোট ভাই ইব্রাহিম (৩৮) ফতুল্লা থানাধীন প্যগুলা দৌলতপুরম্ন ইট, সিমেন্ট, বালুর ব্যবসা করিয়া আসিতেছিল। ইং
২১/০৮/২০২৩ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান- ০৬.৩০ ঘটিকার সময় দৌলতপুর কলশী বাড়ী মোড়ে এলাকার কিশোর
গ্যাং এর ০২ গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। ঐ সময় আমার ছোট ভাই কিশোর গ্যাং এর
সদস্যদেরকে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় বাধা নিষেধ করায় এবং আমার ভাই ইট, সিমেন্ট, বালুর ব্যবসা করায় বিবাদীরা বিভিন্ন সময় আমার ছোট ভাইয়ের নিকট অযৌক্তিক দাবী দাওয়া উপস্থাপন করে। আমার ছোট ভাই বিবাদীদের অযৌক্তিক দাবী দাওয়া মানিয়া না নেওয়ায় এবং কিশোর গ্যাংদের হাতাহাতি ও মারামারিতে বাবা সৃষ্টি করার জের হিসাবে ইং- ২১/০৮/২০২৩ তারিখ রাত্র অনুমান- ০৮:১৫ ঘটিকার সময় উল্লেখিত বিবাদীগণ সহ
অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন প্রত্যেকে হাতে চাপাতি, রামদা, ছোরা, চাকু, লোহার রড, জিয়াই পাইপ, কাঠের ডাসা
ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র মন্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে ফতুল্লা থানাধীন পাগলা দৌলতপুরস্থ কলশী বাড়ী মোড়ে আমার ছোট ভাই ইব্রাহীম (৩৮)কে একা পাইয়া পূর্ব শত্রুতার জের হিসাবে উল্লেখিত বিবাদীগণ সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন বিবাদীরা আমার ছোট ভাইকে অতর্কিত ভাবে আক্রমন করতঃ মারপিট করিতে থাকে। এক পর্যায়ে ১নং বিবাদীর হাতে থাকা চাপাতি দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছোট ভাই ইব্রাহিম এর মাথার সামনে নাম পাশে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। আমার ছোট ভাই মাথায় কোপ খাইয়া মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে ২নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো ছোরা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছোট ভাইয়ের কপালের বাম পাশে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ৩নং বিবাদীর হাতে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দ্বারা আমার উক্ত ভাইকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তাহার মাথার মাঝ বরাবর ঘাই মারিয়া গভীর ক্ষত বিশিষ্ট রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ৪নং বিবাদীর হাতে থাকা রামদা দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ভাইয়ের মাথার পিছনে ডান পাশে কোপ মারিয়া গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে।
৫নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করিতে গেলে উক্ত আঘাত ডান হাত দ্বারা ফিরাইলে উক্ত লোহার আঘাত আমার ভাইয়ের ডান হাতের কব্জিতে লাগিয়া হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জন্ম প্রাপ্ত হয়। ৬নং বিবাদীদ্বয়ের হাতে থাকা সুইচ গিয়ার চাকু দ্বারা আমার ভাইয়ের পিঠের একাধিক স্থানে পোচ মারিয়া কাটা রক্তাক্ত জখম করে। ৭নং বিবাদী সহ অজ্ঞাত নামা বিবাদীরা আমার ছোট
ভাই ইব্রাহিমকে লোহার রড় ও জিয়াই পাইপ এবং কাঠের ডাসা দ্বারা এলোপাতাড়ী পিটাইয়া আমার ভাইয়ের পিঠে,
দুই হাতে পায়ে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা রক্ত জমাট জখম করে। আমার ছোট ভাইয়ের ডাক
চিৎকারে আমার ছোট ভাইয়ের বন্ধু রাজু (৩৬), মিরাজ (৩৬), হাসান বাবু (৩৫), সুমন (৩৫) গন আমার
ভাইকে ব্রহ্মা করার জন্য আগাইয়া গেলে বিবাদীরা তাহাদেরকেও এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করিয়া নীলা ফোলা জখম করে। ১নং বিবাদী আমার ভাইয়ের প্যান্টের পকেটে থাকা ব্যবসায়ীক নগদ ৯৫,৭০০/- টাকা এবং ২নং বিবাদী একটি আইফোন ১৪ ম্যাক্ত প্রো মোবাইল ফোন, যাহার মূল্য অনুমান- ১,৫০,০০০/- টাকা নিয়া নেয়।
একপর্যায়ে বিবাদীরা আমার ভাইকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়া ঘটনাস্থলে মুমূর্ষু অবস্থায়বফেলিয়া রাখিয়া চলিয়া যায়। সংবাদ পাইয়া আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় আমার ছোট ভাই ইব্রাহিম কে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করি। বর্তমানে আমার ছোট ভাই ইব্রাহিম উক্ত হাসপাতালে মুমূর্খ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
তবে এ ঘটনায় ফতুল্লা থানায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
0 Comments