২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে ও ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ পার্টি অফিসে হামলার প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয় মহানগর ছাত্রলীগ সাবেক স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক আবীর হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
মহানগর যুবলীত নেতা শুভ রায় বাকের বলেন এই আগস্ট মাস বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি শোকের মাস, এই আগস্ট মাসে আমরা হারিয়েছি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে,তারা আমাদের জাতির পিতা কে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নেই তারা হত্যা করতে চেয়েছিলো তারই সুযোগ্য কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।তারা সেইখানে ব্যার্থ হয়েছিলো সেইখানে ব্যার্থ হওয়ার পরে এখনো প্রতিটি আগস্ট মাস আসলে তারা জেগে ওঠে, তারা আবার পায়তারার চেষ্টা করে আমাদের নেত্রীর উপর আমাদের আওয়ামিলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানোর জন্য।সেই সুবাধে এইবারও আগস্ট মাসে আপনারা উপলব্ধি করেছেন ঢাকা শহরে বি,এন,পি জামাত সেই স্বৈরাচারী রাজাকার এর বংশধররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বাসে আগুন দিচ্ছে এম্বুলেন্স পোড়ানো হচ্ছে,বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরী করে আওয়ামিলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হচ্ছে।তারই সুবাদে গত পরশুদিন ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়েছে যাদের অনেকেকেই কিশোর গ্যাং বলে আক্ষায়িত করতে যাচ্ছে।
কিন্তু আমি বলবো তাদের কিশোর গ্যাং বললে ভুল হবে কিশোর গ্যাং মানে কি ছোট ছোট অল্প বয়সের তাদের ইন্ধন দিচ্ছে যারা তাদের কে আমাদের বের করতে হবে।
তাদের উস্কানি দিচ্ছে পিছন থেকে সেই বি,এন,পি জামাতের নেতাকর্মীরা। আমি কিছু দিন আগে চাষাড়ায় একটি প্রতিবাদ সভায় বলছিলাম মাসদাইর এলাকায মাদক সেবি চাঁদাবাজ দের অভয়ারণ্য, এই কিশোর গ্যাং বাহিনী পকেট বাহিনী পালন করে যাচ্ছে বি,এন,পি এক
তথাকথিত নেতা জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।রনির অধিকাংশ লোক এই কিশোর গ্যাং এর সাথে জড়িত তারাই আওয়ামিলীগ পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে, আপনারা সবাই জানেন এই ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কে তিনি কাউন্সিলর আমি বলবো ওনার উচিৎ ছিলো একটি প্রতিবাদ জানানো সে দেই দল এই করুক না কেন। যেহুতু তার ওয়ার্ড এ এই ন্যাক্কারজনক জনক হামলা হয়েছে অথচ তিনি একটি প্রতিবাদ জানাননেই।তার এই নিচ্চুপতা অনেক কিছু বুজা যায়, আমাদের কষ্ট একটাই ১৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ পার্টি অফিস ভাংচুর করা হলো কেউ একটি প্রতিবাদ করছেনা সবাই যেনো দেখেও দেখছেনা।সাধারণ জনগণ এই হামলা চালিয়েছে তাদের কাছে ভীত কারন যারা হামলা চালিয়েছে সাধারণ জনগণ তাদের কে অনেক ভয় পাচ্ছে।মেনে নিলাম তারা ভয়ে কিছু বলতে পারছেনা অথচ আমাদের দলের আওয়ামিলীগ এর নেতাকর্মীরা আছে তারাও দেখি চুপ। এই তেরো নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগ অফিসে যে হামলা হয়েছিলো সেই আওয়ামিলীগ অফিস থেকে আমাদের সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাহেব এর বাসা ৫ মিনিট দুরত্ব, তিনি একজন আওয়ামিলীগ সনামধন্য পরিবারের সন্তান, তিনি নিজেও বলেন তার পিতা একজন জৈষ্ঠ্য নেতা সেটা আমরাও মানি,তার কন্যা হয়ে তার দলের পার্টি অফিসে হামলা হলো, তার পিতার যে নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই জাতির পিতার ছবি ভাঙা হলো, তার যে নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ছবি ভাঙা হলো তার দলের এম,পি মহাদয়ের ছবি ভাঙা হলো তার পক্ষ থেকে কোন প্রতিবাদ আসলো না। জিনিসটা দেখে আমরা যারা তরুন প্রজন্ম আছি খুবই লজ্জাজনক হচ্ছে আজকে শোক সভায় এই কথা বলছি, কারন আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।আমাদের নেতার ছবি ভাঙচুর হয়েছে, আমাদের জাতির পিতার ছবি ভাঙচুর হয়েছে,জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর হয়েছে আমরা সবাই দেখছি প্রশাসন আসামি ধরছে কিন্তু কোন সংগঠন এটার প্রতিবাদ জানায়নেই। কে কোন দল করলো দেখার বিষয় না কোন কিশোর গ্যাং ভাঙলো না ছাত্রদল ভাঙলো বা যুবদল ভাঙলো তাও দেখার বিষয় না,কারন আমরা জানি কারা ভেঙেছে রনির মত কিছু সন্ত্রাসী আছে কিশোর গ্যাং দের লালিত পালিত করছে উস্কিয়ে দিচ্ছে তারা চাচ্ছে আগস্ট মাস আসলেই তাদের ফালানি বেরে যায় তাদের রক্তের মধ্যে জামাত শিবিরের রক্ত তো তাই আগস্ট মাস আসলেই হামলা ভাংচুর চালাতে হবে,তারই উদাহরণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে আমাদের নারায়ণগঞ্জ এ যারা পার্টি অফিসে আসেপাশে থাকে তারা নিচ্চুপ এবং কি আমাদের মহানগর আওয়ামিলীগ এর সভাপতি আনোয়ার হোসেন সাহেব এর বাসা ওইখান থেকে ৫ মিনিট এর রাস্তা তারাএ অনুষ্ঠান করে কিন্তু পার্টি অফিস সম্বন্ধে কিছু বলে না।এই যুব সমাজ আপনাদের প্রতিহত করবে তখন আপনারা পালানোর পথ খুজে পাবেন না।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন শান্ত,সাখাওয়াত হোসেন সুমিত,রঞ্জিত সাহা, শামিম হোসেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামিলীগ এর কার্যনিবাহী সদস্য মাহাদী হাসান রবিন,সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কোরবান আলী, সহ যুবলীগ সেচ্ছাসেবক লীগ এর নেতৃবৃন্দ।
0 Comments