গত ৩০শে আগষ্ট কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচী পালনকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সমাবেশস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর দূর্বৃত্তদের হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় ফতুল্লার জনপ্রিয় নেতা ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান খোকা, মোঃ সালাউদ্দিন ব্যাপারী, হাজী মোঃ শহীদুল্লাহ সহ ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় একটি সাজানো মামলা দায়ের করা হয়। আমরা জেলা বিএনপি এহেন হয়রানিমূলক মামলায় তীব্র নিন্দা জানাই।
জেলা বি এন পির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন সরকারের আজ্ঞাবহ প্রশাসন সরকারের একটি বিশেষ শাখা হিসেবে কঠোর পরিশ্রম করে সরকারকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রেখেছে। মামলা হামলা করে বিগত পনেরোটি বছর বিএনপিকে দমন করার আপ্রাণ চেষ্টায় লিপ্ত ছিলো সরকারী দল ও তাদের তাঁবেদার প্রশাসন। সরকার মূলত চায় তাদের করা চুরি, গুম, খুন, ক্রসফায়ার, লুটপাট জাতীয় ভয়ঙ্কর অপরাধের বৈধতা। আর তাই তারা বিভিন্ন দেশের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে আবার ক্ষমতার মসনদ দখল করে বিরোধী মতাদর্শীদের চিরতরে দমন করে আজীবন ক্ষমতা ধরে রাখার। সে লক্ষ্যে প্রশাসন সরকারী দলের অঙ্গ সংগঠনের ন্যায় একটি বিশেষ শাখা হিসেবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
আমরা আবারো হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, বিএনপি গণমানুষের দল, এদলে সাধারণ মানুষের সংখ্যা বেশী। জনগণের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার জন্য বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয় করেন, আইন কিন্তু নিজের গতিতে চলে। সভ্য দেশে কখনোই বিরোধীদলের উপর এমন অত্যাচারের খড়্গ চাপানো হয়না। কারণ সেখানকার গণতন্ত্র সুসংহত তারা সংবিধান সংশোধন করে আইন করেনা বরং আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগে সংবিধান সংশোধন করতে হলে জনরায় নিয়ে তারপর করে। যদি এখনোও আপনাদের হুঁশ না হয় তবে আপনাদের দূর্ভাগ্য। ভুলে যাবেন না জনগণের দোহাই দিয়ে এবারোও অথর্ব বিরোধীদল বানিয়ে নির্বাচন নামক নাটীকা মঞ্চস্থ করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবেনা। ইতিমধ্যেই বন্ধুরাষ্ট্রগুলো আপনাদের মেধার জোর ও বৈশিষ্ট্য চিনে ফেলেছেন। সুতরাং বার বার বন্ধুরাষ্ট্রগুলো অবাধ, সুষ্ঠু ও সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দিচ্ছেন। তাই এবার ভুয়া-নৈশ নির্বাচন করে ক্ষমতা আকড়ে রাখার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে, ঘোর কাটলে দেখবেন আইন আপনাদের পেছনে তাড়া করছে। আমরা অবিলম্বে এ ধরণের কাল্পনিক ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার চাই।
0 Comments