আলআমিন কবির সোনারগাঁও নারায়ণগঞ্জ।
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - মাহবুবুর রহমান রক্সি
তিনি এক বার্তায় বলেন -
১৬ই ডিসেম্বর। আমাদের মহান বিজয় দিবস। সবাইকে জানাই মহান বিজয় দিবসের অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। নয় মাস রক্তক্ষয়ী প্রচন্ড যুদ্ধ এবং নানা আন্তর্জাতিক কূটকৌশলকে পরাজিত করে আমরা অর্জন করেছি এই স্বাধীনতা। আমাদের এই বিজয় আনন্দের সাথে মিশে আছে লাখো শহীদের রক্ত এবং আত্মত্যাগ। এই মানুষগুলো শুধু মাত্র দেশকে ভালোবেসে হাসিমুখে মৃত্যুকে বরন না করলে, আমরা এই বিজয় অর্জন করতে পারতাম না। তাই তাদের প্রতি রইল আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।
সম্প্রতি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করার মাধ্যমে দীর্ঘ বেয়াল্লিশ বছরের যে কলংক অবসানের সূচনা হয়েছে, আমরা আশা করি, দলমত নির্বিশেষে সকল যুদ্ধাপরাধীদেরকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবার মাধ্যমে তা অব্যহত থাকবে।
আমরা হচ্ছি এমন একটি জাতি যারা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সীমিত সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে একটু একটু করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। এটা নিঃসন্দেহে দূর্লভ একটি ব্যাপার। আর তাই একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি সত্যি গর্ববোধ করি। আমি বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আমাদের যে অগ্রগতি হয়েছে, তার পিছে রয়েছে দেশের খেটে খাওয়া সাধারন মানুষগুলোর অক্লান্ত পরিশ্রম, ধৈর্য এবং লড়াই করার মানসিকতা। আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। তারাই আমাদের মূল চালিকা শক্তি। আমি এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা সকল সরকারকে জনগনের জন্য কম বেশি যে কাজই তারা করার চেষ্টা করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ জানাই। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের মাঝে হানাহানি না করত, একে অপরকে সম্মান করত, তাদের নিজ নিজ আদর্শের যদি বাস্তবায়ন তারা করতে পারত, তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা আরো অনেক এগিয়ে যেতাম।
এই মহান বিজয় দিবসে আমরা নতুন একটি কাজ করতে চাই। আমরা এখন থেকে ভালোকে ভালো এবং মন্দকে মন্দ বলার সৎ সাহস অর্জন করতে চাই। আমরা মানুষকে তাদের ভালো কাজের জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই। আসুন আমরা বিনয়ী হই। বিনয় মানুষকে দূর্বল করে না বরং শক্তিশালী করে। বাসায় ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসার পর যখন, বাসার কাজের লোকটা আপনার জন্য এক গ্লাস পানি নিয়ে আসে তাকে ধন্যবাদ দিন। যে রিকশাওয়ালাটা আপনাকে টেনে নিয়ে আসল, তাকে ভাড়া দেয়ার সময় ধন্যবাদ দিন। যে সব্জি ওয়ালা থেকে আপনার বাজার করেন, তাকে ধন্যবাদ দিন। আমরা যদি অন্যকে সম্মান করি তাহলে নিজেরাও সম্মান পাব। অন্যকে অসম্মান করে নিজেরা কখনও সম্মানিত এবং উন্নতি করতে পারব না। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের সামগ্রিক উন্নতিতে সবারই সম্মিলিত ভূমিকা আছে। তাই আমরা সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে পারি।
আমাদের দেশে ধন্যবাদ দেয়ার রীতিটা এখনও খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং প্রচলিত এই ধারা থেকে বের হয়ে আসা বেশ কঠিনও। কিন্তু তারপরও সবাই যদি সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা চালাই তাহলে অনেক কিছুই হতে পারে। তাই চলুন আমরা এই বিজয় দিবসে যার যতটুকু ভালো কাজ আছে সেটার জন্য তাকে প্রসংশা করি, তাকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সর্বপরি ব্যক্তিগত জীবনে উন্নতির জন্য এই চর্চাটি ভীষন দরকার। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ একদিন সকল বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আরো উন্নতির দিকে এগিয়ে যাব। পৃথিবীর বুকে মাথা উচু করে দাঁড়াবে। সেই দিন নিশ্চয় খুব দেরী নয়। সবার প্রতি রইল বিজয় দিবসের অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।
0 Comments