নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবৈধ গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা হামলার শিকার হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের আধুরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সোনারগাঁ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মিজবাহ উর রহমান। প্রাথমিকভাবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি। মিজবাহ উর রহমান এক চিকিৎসকের চেম্বারে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তিতাস গ্যাসের আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক মো. সুরুজ আলম বলেন, ভুলতার আধুরিয়া এলাকায় প্রায় দুই হাজার অবৈধ সংযোগ চিহ্নিত করে আজ দুপুরে সেগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর অভিযানের খবর পেয়ে আশপাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে শতাধিক নারী-পুরুষ সেখানে জড়ো হন। একপর্যায়ে তাঁরা তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মিজবাহ উর রহমানসহ শ্রমিকদের অবরুদ্ধ করে মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ থানা–পুলিশ তিতাস কর্মকর্তাদের উদ্ধার করতে এলে পুলিশের সঙ্গে এলাকাবাসীর পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ইট–পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। পরে তিতাস কর্মকর্তারা পুলিশের সহায়তায় ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আল আমিন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঘরপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে তাঁরা স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে গ্যাসের সংযোগ নিয়েছেন। সংযোগ নেওয়ার সময় বলা হয়েছিল, তিতাস গ্যাস কর্মকর্তাদের দেওয়ার জন্যই এসব টাকা নেওয়া হচ্ছে। তাহলে এখন কেন উচ্ছেদ করা হচ্ছে?
মাইমুনা বেগম নামের এক নারী বলেন, রূপগঞ্জে কলকারখানা বাড়ার পর কৃষিজমি কমে যাওয়ায় মাটির চুলায় রান্না করার পরিস্থিতি নেই। বাজারে সিলিন্ডারের চড়া দাম। এমন অবস্থায় হঠাৎ করেই গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তাঁরা বিপাকে পড়বেন। সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করে অবৈধ সংযোগ বৈধ করে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ বলেন, গ্যাস–সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেরার সময় এলাকাবাসী তিতাস কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
0 Comments