রাস্তায় গাড়ি কম বের করলে এবং সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চললে যানজট থাকে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অতিরিক্ত গাড়ি এখন রাস্তায় চলে। সবাই ট্রাফিক রুল মেনে চললে আর গাড়ি কম বের করলে যানজট তো থাকে না। গাড়িতেও চড়বেন, একেকটি পরিবার দু–তিনটি গাড়ি বের করবেন আবার ট্রাফিক জ্যাম হলে গালি দেবেন, এটা তো চলবে না। বুধবার (৫ এপ্রিল) সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, উন্নয়ন কার জন্য? উন্নয়ন তো এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য। মানুষ চলাচল করতে পারে তার জন্য। এখন হয়তো কিছু কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এটা সম্পন্ন হবার পর উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে ৬০ হাজার লোক যাতায়াত করতে পারবে।
এদিন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জাতীয় সংসদে রাজধানীর যানজট নিয়ে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের সমালোচনার জবাবে বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। তাই সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি বেড়েছে। আওয়ামী লীগ যদি আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকে, তাহলে উপজেলাতেও গাড়ির লাইন লেগে যাবে।
এর আগে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, শব্দ দূষণ বলেন, বায়ু দূষণ বলেন, পানি দূষণ বলেন, মশার উপদ্রব বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সাংঘাতিক বিপর্যয় বলেন এবং অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে ঢাকা শুধু নয়, গোটা বাংলাদেশ একটি অবাসযোগ্য দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে। সরকার শুধু মেগাপ্রকল্পের দিকে দৃষ্টিপাত করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যারা দেখতে পায় না, চোখে চশমা দিতে।’ আমরা চোখে চশমা দিচ্ছি। আজ বাসা থেকে সচিবালয় যেতে তিন ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। রোজাদাররা অফিস থেকে বাসায় এসে ইফতার করতে পারছেন না। মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে গেলে মশার উপদ্রবে নামাজে বিঘ্নিত হচ্ছে। এই জায়গাগুলোতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন?
এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরের কথা বলছেন, এখানে মানুষ যেভাবে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে, সবাই ঢাকায় মুভ করছে। সারা পৃথিবীতেই এমন হয়েছে। লন্ডন, টোকিও, কলকাতায়ও হয়েছে। তারা এটাকে ম্যানেজ করেছে। আমরাও এটা নিয়ে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাকে ড্যাপের সভাপতি বানিয়েছেন, সেখানে অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করছি। এ সময় মেট্রোরেল বাস্তবায়নে ঢাকা মহানগরীর যানজট দূর করা যাবে না দাবি করে ‘গণপরিবহন ব্যবস্থায় আধুনিকায়নের’ পরামর্শ দেন বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ।
0 Comments